৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সংখ্যা গরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করার পর সংবিধান রচনায় হাত দেয়। এটা ছিল এলএফও ‘র নির্দেশনা মেনে কিন্তু ৬ দফার উপর ভিত্তি করে রচনার চেষ্টা।
১৯৭১ এর ২৭ জানুয়ারী ভুট্টোর নেত্রীত্বে পিপিপির নেত্রীবৃন্দ ঢাকা আসেন শেখ মুজিব ও আওয়ামীলীগের কাছ থেকে ৬ দফা বুঝতে ও সম্ভাব্য সংবিধান ও সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতে। সফর শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ভুট্টোকে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ তার বর্তমান নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাবলে একটি সংবিধান প্রণয়নে সক্ষম হবে কি না, ভুট্টো তখন বলেছিলেন:
আইনানুগভাবে বলতে গেলে সে পথ তাদের খোলা আছে। কিন্তু যে প্রশ্নের মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন তা হলো সংবিধান কী প্রক্রিয়ায় পাস হবে; সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, নাকি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়। আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারটি যেহেতু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, সেহেতু এ ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।
ঢাকা থেকে বিদায়ের প্রাক্কালে ভুট্টোর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ইঙ্গিত দিলেন যে তাঁরা পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশের তাঁদের দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে ফিরে যাচ্ছেন এবং ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করতে ঢাকায় ফিরবেন। যদিও পরবর্তীতে আপাত দৃশ্যমান গঠনমূলক প্রক্রিয়াটি আর বেঁচে থাকে নি।