Movie Shor
Released Year 1972
Artist Manoj Kumar and Nanda
Singer Mukesh Kumar, Lata Mangeshkar
Composer Laxmikant-Pyarelal
Lyricist Santosh Anand
Ek pyar ka nagma hai, maujon ki rawani hai | It’s a song of love, it’s a flow of ecstasy |
Ek pyar ka nagma hai, maujon ki rawani hai | It’s a song of love, it’s a flow of ecstasy |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai, maujon ki rawani hai | It’s a song of love, it’s a flow of ecstasy |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai | It’s a song of love |
Kuch paakar khona hai, kuch khokar paana hai | We have to attain something and lose something |
Jeevan ka matlab toh aana aur jaana hai | The meaning of life is coming and going |
Do pal ke jeevan se ek umar churani hai | We have to steal a lifetime from this short life |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai | It’s a song of love |
Tu dhaar hai nadiya ki, main tera kinara hoon | You’re the current of a river and I’m your shore |
Tu mera sahara hai, main tera sahara hoon | You’re my support and I’m your support |
Aankhon mein samandar hai, ashaon ka paani hai | In my eyes there’s an ocean with waters of desires |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai | It’s a song of love |
Toofan ko aana hai, aakar chale jaana hai | The storm has to come and leave as well |
Baadal hai yeh kuch pal ka, chhakar dhal jaana hai | The clouds will thunder for a few moments and then pass |
Parchaiyan reh jaati, reh jaati nishani hai | Shadows remain, marks remain |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai, maujon ki rawani hai | It’s a song of love, it’s a flow of ecstasy |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai | It’s a song of love |
আমরা যারা লেখালেখি করি, ফেব্রুয়ারির গ্রন্থমেলা সামনে রেখে তাদের মধ্যে বই প্রকাশ নিয়ে একটা চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে যায়। মুদ্রণ ও প্রকাশনা জগত্ সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই তাদেরকে এ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা দেওয়াই এই লেখার উদ্দেশ্য।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের খরচে যাদের বই প্রকাশিত হয় তাদেরকে খরচের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। কিন্তু যারা প্রকাশকের সঙ্গে চুক্তিতে কিংবা স্বউদ্যোগে বই ছাপাতে চান তাদের জন্য কিছু হিসাব-নিকাশ এখানে উল্লেখ করা হবে। তবে তার আগে সবার প্রতি অনুরোধ, আপনার লেখাটিকে যদি মানোত্তীর্ণ মনে করেন তাহলে ভালো কোনো প্রকাশকের কাছে জমা দিন। কোনো প্রতিষ্ঠিত প্রকাশক যদি আপনার পাণ্ডুলিপিটি গ্রহণ করে এবং দুই বছর পরেও সেটা প্রকাশ করে তো তাদেরকে দেওয়াই উত্তম। কোনো প্রকাশক যদি একান্তই তা না করতে চায় তাহলে নিজ খরচে ভালো কোনো প্রকাশকের মাধ্যমে বইটি বের করুন। অনেক বড় প্রকাশকও আজকাল এ পদ্ধতিতে বই প্রকাশ করে। তবে ভালো প্রকাশক আপনার খরচে বই প্রকাশ করলেও পাণ্ডুলিপিটা মানসম্পন্ন কি না দেখে নেবে। পদ্ধতিটা হল এমন, প্রকাশক বইটা প্রকাশ করবে তবে আপনাকে নির্দিষ্ট সংখ্যক বই ক্রয় করতে হবে। সেই নির্দিষ্ট সংখ্যাটা হতে পারে ৩৫০। তবে এই পদ্ধতির আসল ব্যাপারটি হচ্ছে প্রকাশক আপনার কাছ থেকে যে টাকাটা নেবে তা দিয়েই বইটা প্রকাশ করবে। তারা এর পেছনে কোনো ইনভেস্ট করবে না। এরা মূলত বই ছাপানোর সময়ই লেখকের কাছ থেকে তাদের লাভটা আদায় করে নেয়। আর অনেকে সংখ্যার হিসাবে কারচুপি করে। দেখা গেল, আপনার কাছ থেকে এক হাজার বই ছাপানোর খরচ নিয়ে তারা পাঁচশো বই ছাপল। তাই খেয়াল রাখবেন, যত সংখ্যক বই ছাপানো হবে বলে আপনার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ততসংখ্যক বই ছাপা হচ্ছে কি না। কাগজ, ছাপা ও বাঁধাইয়ে মান বজায় থাকছে কি না। বইয়ের দাম ওই প্রকাশনীর ওই মানের অন্য বইয়ের সমতুল্য কি না।
নিজ খরচে যারা বই বের করবেন তারা নিচের খরচের হিসাবটা বোঝার চেষ্টা করবেন। যাদের এ ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই তাদের কাছে কঠিন মনে হলেও আশা করি এটা আপনাকে অনেক কাজে দেবে।
একটি বই প্রকাশ করতে হলে যথাক্রমে এই কাজগুলো আমাদের করতে হয় :
কম্পোজ
প্রুফ রিডিং এবং সম্পাদনা
অলঙ্করণ ও প্রচ্ছদ ডিজাইন
মেকআপ
পেস্টিং অথবা কম্পিউটারে ফর্মা সেটিং
ট্রেসিং ও পজেটিভ
প্রচ্ছদের পজেটিভ
প্লেট তৈরি
ইনার ও প্রচ্ছদের জন্য কাগজ
ছাপা
লেমিনেশন
বাঁধাই।
ফর্মা কাকে বলে : একটি ডিমাই (২৩ ইঞ্চি–১৮ ইঞ্চি) বা ক্রাউন (২০ ইঞ্চি–১৫ ইঞ্চি) কাগজ মানেই এক ফর্মা। সাড়ে আট বাই সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি (প্রায়) সাইজের বইয়ে ১৬ পৃষ্ঠায় এক ফর্মা আর বড় সাইজের বইয়ে ৮ পৃষ্ঠায় এক ফর্মা। ১৬ পৃষ্ঠায় ফর্মার বই করতে হলে ডাবল ডিমাই কাগজ এবং ৮ পৃষ্ঠার বইয়ে ডাবল ক্রাউন কাগজ ব্যবহার করা ভালো। এই সাইজ দুটো হল কমন সাইজ। আমাদের দেশের এবং বিদেশের প্রকাশকরা অবশ্য এর বাইরেও বিভিন্ন সাইজের বই বের করে। আমাদের দেশের মার্কেটে সাধারণত ডাবল ডিমাই এবং ডাবল ক্রাউন সাইজের কাগজ বেশি পাওয়া যায়। সেদিক দিয়ে একটা ডাবল কাগজের দুই দিক ছাপা মানে দুই ফর্মা। তার মানে একটা দশ ফর্মার বই ছাপতে আপনার দরকার হবে পাঁচটি ডাবল ডিমাই বা ডাবল ক্রাউন কাগজ। এভাবে ৫০০ বই করতে কতটি কাগজ দরকার তা আপনি সহজেই বের করতে পারবেন। বইয়ের ফর্মা সংখ্যার হেরফের হলেও হিসাব করতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এখন চটজলদি বের করে ফেলুন আপনার বইটি কয় ফর্মার হবে এবং কত শিট কাগজ আপনার দরকার। যত শিট কাগজ দরকার তাকে ৫০০ দিয়ে ভাগ করলেই আপনার রিমের হিসাবটি বের হয়ে আসবে। অর্থাত্ ৫০০ শিট=১ রিম। মনে রাখবেন, প্রিন্টিং ও বাইন্ডিংয়ের কয়েকটি পর্যায়ে যেহেতু অনেক কাগজ নষ্ট হয় তাই ৫০০ বই পেতে হলে আপনার কমপক্ষে আরও ৪০-৫০টি বইয়ের ম্যাটেরিয়াল বেশি দিতে হবে। বর্তমানে বাজারে ৮০ গ্রাম ডাবল ডিমাই বসুন্ধরা কাগজের মূল্য ২০০০ টাকা/রিম (প্রায়)। ডাবল ক্রাউন ১৪০০ টাকা/রিম (প্রায়)। এর চেয়ে বেশি এবং কম দামের কাগজ বাজারে আছে। ডিসেম্বরের দিকে কাগজের দাম সাধারণত বৃদ্ধি পায়। সাধারণ মানের বইয়ে ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম কাগজ ব্যবহার হয়। গ্রাম হচ্ছে কাগজের পুরুত্বের হিসাব।
প্লেট কী : প্লেট হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি একটি মুদ্রণ অনুষঙ্গ। আপনার বইটি যদি ডাবল ডিমাই মেশিনে ছাপতে চান তবে বইটি যত ফর্মার হবে ততটি প্লেটের দরকার হবে। প্রতিটি প্লেটের মেকিং চার্জসহ দাম পড়বে ৩০০ টাকার মতো। তবে সময়ভেদে গত বছর ৬০০ টাকা পর্যনন্ত দাম ওঠে। প্লেট করার আগে আপনার লেখাগুলোকে ট্রেসিং বা পজেটিভ আকারে বের করতে হবে। বইয়ের মেকআপ করা থাকলে প্রতিটি ট্রেসিং নিতে খরচ পড়বে ১৫ টাকা। এক ফর্মায় ৮টি ট্রেসিং লাগে। আউটপুট নিতে হলে প্রতি বর্গইঞ্চি/প্রতি কালারের জন্য দরকার হবে ৫০ থেকে ৬০ পয়সা। পজিটিভ করতে হলে ফর্মা সেটিং আগে করে নিতে হবে। তবে বাংলা পজেটিভ করতে ফন্টের সমস্যার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কভার সাধারণত ছাপা হয় ডিমাই মেশিনে। প্রতিটি ডিমাই প্লেটের জন্য খরচ পড়বে ১৫০ টাকার মতো। উভয় ক্ষেত্রেই প্রতি কালারের জন্য একটি প্লেট ব্যবহার করতে হবে। তার মানে আপনার বইটির ভেতরের অংশ যদি এক কালারে ছাপা হয় তবে তার জন্য প্রতি ফর্মায় একটি প্লেট, যদি দুই কালারে ছাপা হয় তাহলে প্রতি ফর্মার জন্য দুটি প্লেট আর যদি চার কালারে ছাপা হয় তবে প্রতি ফর্মার জন্য চারটি প্লেট দরকার হবে।
বইয়ের প্রচ্ছদ সাধারণত চার কালারে ছাপা হয়, তাই এর জন্য চারটি ডিমাই সাইজের প্লেট দরকার হবে।
প্রচ্ছদ : বই বের করতে হলে প্রচ্ছদের দিকে বিশেষ খেয়াল দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে প্রচ্ছদশিল্পী থেকে শুরু করে সব কাজেই প্রফেশনালদের ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখা উচিত, প্রিন্টিং টেকনোলজি বেশ জটিল। তাই এ কাজে যে-ই জড়িত হবে সে যেন প্রিন্টিংয়ের এ টু জেড অবগত থাকে। আর বইয়ের মূল আকর্ষণই হচ্ছে প্রচ্ছদ এ কথা তো আমরা জানিই। বড় বড় আর্টিস্টরা একটি প্রচ্ছদের জন্য বিভিন্ন রকম পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। তবে প্রচলিত মানের একজন প্রচ্ছদশিল্পীর একটি কাজের পারিশ্রমিক আড়াই হাজার টাকার মতো।
ইলাস্ট্রেশনের খরচ নির্ভর করে ভেতরে কী পরিমাণ কাজ থাকবে তার ওপর।
প্রুফ রিডিং এবং সম্পাদনা : বই প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু আমাদের দেশে এই পেশায় যোগ্য লোক নেই বললেই চলে। তবু আপনার প্রকাশনাটি মানসম্পন্ন করতে চাইলে একজন যোগ্য সম্পাদক খুঁজে বের করা উচিত। সাধারণ মানের লেখকরা ধারণাই করতে পারেন না তার লেখাটিতে কত ধরনের খুঁত থেকে যায়। একজন ভালো সম্পাদক সেগুলো দূর করতে পারেন। তবে হতাশার কথা এই যে, আমাদের দেশে বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রায় কারওই সম্পাদনার ওপর কোনো বাজেট থাকে না। তবে প্রুফ রিডাররা আছেন। তারা টুকটাক ভুলভাল যে ধরেন তাতেও বইয়ের মান কিছুটা বজায় থাকে। মনে রাখা দরকার, আপনি যা জানেন তার মধ্যে কতটুকু ত্রুটি আছে সে ব্যাপারে আপনার মোটেই ধারণা নেই। যদি থাকত তবে আপনি ভুল লিখতেন না। বই প্রকাশের পরে তাতে যে কোনো ধরনের ভুল থাকাটা কতটা হাস্যকর তারা মোটেই জানেন না যারা ব্যাপারটাকে উপেক্ষা করেন। কয়েকদিন আগে এক বইমেলায় একটি বইয়ের নাম দেখলাম, ‘লেলিন….’। বুঝতেই পারছেন যারা লেনিনের নামটি ঠিকমতো জানেন না, তারা লেনিন সম্পর্কে কী বই বের করবেন। আর একজন বিজ্ঞ পাঠক যখন বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের ভুল দেখবেন তখন ওই বই হাতে নিয়েও দেখবেন না। তাই এই ব্যাপারটিতেও আপনাকে নজর দিতে হবে।
এবারে আমরা একটা বই প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য হিসাব করব। এই হিসাব চূড়ান্ত কোনো হিসাব নয়। এর চেয়ে কম অথবা বেশি বাজেটেও এ ধরনের একটা বই প্রকাশ সম্ভব হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনি কতটা কোয়ালিটি মেইনটেইন করবেন তার ওপর।
নমুনা হিসাব
বইয়ের সাইজ : ৫ ফর্মা (৮০ পৃষ্ঠা)
কাগজ : ৮০ গ্রাম বসুন্ধরা
ভেতরের ছাপা এক কালার
কভার চার কালার, লেমিনেশন ও বোর্ড বাঁধাই
সংখ্যা : ৫০০ কপি
ইলাস্ট্রেশন …………………. ০০০০
মেকআপ ও ট্রেসিং ………….. ২০০০
প্রুফ রিডিং ………………… ২০০০
কাগজ ২ রিম ১৫ দিস্তা ……… ৫৫০০
পেস্টিং …………………….. ৫০০
ডাবল ডিমাই প্লেট ৫টি ………. ১৫০০
ছাপা ৫ প্লেট ………………… ২০০০
আর্টপেপার ১২০ গ্রাম ৮ দিস্তা …… ১৫০০
৭০ গ্রাম জ্যাকেটের পেপার ৪ দিস্তা … ৪০০
প্রচ্ছদ ডিজাইন …………. ২০০০/২৫০০
প্রচ্ছদের পজেটিভ ……………… ৫০০
ডিমাই প্লেট ৪টা ………………. ৬০০
প্রচ্ছদ ছাপা …………………. ১৬০০
পোস্তানির কাগজ ………………. ৯০০
লেমিনেশন ……………………. ৭০০
বাঁধাই ………………. ……….৭৫০০
পোস্তানি প্রিন্ট ………………….. ৫০০
অন্যান্য ……………………… ১০০০
বিষয়টির প্রতি অনেকের আগ্রহের কারণে এই পোস্টটি দেওয়া হল। এই নমুনা হিসাবের সাথে আপনার বইয়ের সাইজ হিসাব করে বের করে নিন আপনার বইটি ছাপাতে কত টাকা খরচ হতে পারে। এ ব্যাপারে যে কোনো প্রশ্ন থাকলে এই পোস্টে আলাপ করতে পারেন।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
জলছবি প্রকাশন থেকে বই প্রকাশ করবেন কেন!
আপনারা হয়তো জানেন, জলছবি বাতায়ন সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি গ্রন্থ প্রকাশের পদক্ষেপ নিয়েছে। জলছবি বাতায়নের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম জলছবি প্রকাশন। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৮টি বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এত এত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থাকতে নিজের পকেটের পয়সায় জলছবি প্রকাশনকে কেন বেছে নেবেন বই প্রকাশের জন্য!
এর উত্তর হচ্ছে :
* জলছবি থেকে প্রকাশিত বইটি হবে সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন
* একটি সুন্দর এবং ভাষাগত দিক নিয়ে নির্ভুল ও সুসম্পাদিত গ্রন্থ প্রকাশের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে জলছবি পরিবারের
* জলছবি আপনার অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
(জলছবি প্রকাশন, ২০১৮)
১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটা স্মরণিকা বের করেছিলাম। স্কুলের ৫/৬ জন মিলে। আমরা তখন ক্লাস এইটে। রফিক, রিয়াজ, লিটু, গাজী আর আমি। হুমায়ূন ও ছিল নাকি, মনে পড়ছে না। চাঁদা তুলে টাকা জোগাড় করেছিলাম। এ-৪ সাইজের কাগজে ১৬ বা ২৪ পৃষ্ঠার ছিল মনে হয়, পরিষ্কার মনে নেই। মানিক মিয়া এভেন্যুে রিক্সা সাইকেল দাঁড় করিয়ে চাঁদা তুলতাম। মানুষ চাইলেই টাকা দিয়ে দিত। মানিক মিয়া তখন আট/দশ লেনের ছিল। লেনগুলোর মাঝে ভীষণ বড় বড় গাছ নিয়ে চওড়া আইল্যান্ড ছিল। রিক্সার জন্য আলাদা লেন ছিল, ২টা রিক্সা অনায়াসে এক দিকের লেন দিয়ে যেতে পারতো। এখান থেকে এক হাজার বা বারশ টাকা তুলেছিলাম। বাকি পাঁচ বা সাত শত টাকা কারুর কাছ থেকে ডোনেশান নিয়েছিলাম। কার কাছ থেকে মনে নেই। রফিকের দুলাভাই হয়তো বা অন্য কেউ। সারাটাদিন মানিক মিয়ায় থাকতাম, দুপুরে রুটি ভাজি খেতাম। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত আমাদের কালেকশান চলত। কেউ কোন বাধা দেয় নাই তবে একদিন এক পুলিশ অফিসার আমদের কাছ থেকে কেন ও কি করছি জিজ্ঞাসা করে জেনে নিয়েছিল। তবে নিষেধ করে নাই।
ছাপানোর খরচের জন্য প্রেসকে ১৮০০টাকা দিব বলে সাব্যস্ত হয়েছিল। কিন্তু সব শেষে তিনশত টাকা আর দেই নাই। এই না দেয়াটা কি আপোষে হয়েছিল নাকি আমরা পালিয়ে গিয়েছিলাম তা এখন মনে নাই। প্রেসের মালিকের নাম শেখ জাতীয় কিছু ছিল। বাম রাজনীতি করার মানুষ। আমরা বুঝতাম যে উনি আমাদেরকে পছন্দ করেন।
স্মরণিকার নামটা কিছুটা অস্বাভাবিক, নামটি হোক উদয়ের পথে। আমরা যখন নাম খুজছিলাম তখন প্রেসের মালিক এই নামটা বলেন। কি আশ্চর্য, নামটা শোনার সাথেসাথেই আমাদের পছন্দ হয়ে যায়। আমরা তখন কত ছোট!
Follow Me