নাহিদ মাহফুজ মানে শিক্ষার্থীদের বলি – ভুল কইরেন না।
সরকারে আছেন বাইরেও আছেন ঠিকাছে। এই দুই ফ্রন্টের মধ্যে সরকারের বাইরের অংশটায় কিন্তু নাই হয়ে আছেন, যতটুকু আছেন ওই সরকারেই।
সরকারের আয়ু বড়জোর এক/দুই বছর, কারণ এটা অন্যের শক্তির উপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা সরকার। তারপরও এসময়ের পরে ওখানে কোন কন্টিনিয়াশান নেই।
ফুলস্টপ। অনেক পরিশ্রমে যে মূল্যবান প্রস্তাবনা কমিশনগুলো দিয়ে বানালেন ওগুলো পরের সরকারের কাছে কাগজেই থাকবে।
আপনারাতো পরের সরাকারে নেই। রিটায়ার্ড।
আর যদি ভাবেন আবার আপনারা ডাকবেন, আর মানুষ আপনাদের ডাকে সাড়া দিবে। ওটা দিবেনা। যে আশা নিয়ে মানুষ এবার এতো ত্যাগ করলো, রাজনীতির অংশ হোল এগুলো সব ঝেড়ে ফেলবে। হতাশা থেকে।
একটা দুর্দান্ত রেইসের মাঝথেকে আপনাদের “অকারণে” গুটিয়ে নেয়াটা মানুষ স্বাভাবিক ভাবে নিবে না।
নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ও পশ্চিম পাকিস্তানে পিপলস পার্টি জয়ী হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দৃশ্যমান। তাদের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচনের ফলাফলকে কীভাবে গ্রহণ করেছে তা জানা যায়।
7 December 1970. Sheikh Mujibur Rahman, Syed Nazrul Islam, Khandaker Moshtaque Ahmed, Tajuddin Ahmed, Korban Ali, M Qamaruzzaman, and others after the win in the Pakistani General Election.
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৭ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অসাধারণ সাফল্যের জন্য আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ও পিপলস পার্টিট প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টোকে অভিনন্দন জানান। দুই নেতার নিকট প্রেরিত একই ধরনের দুইটি অভিনন্দন বাণীতে প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনার দলের অসাধারণ সাফল্যের জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই।
নির্বাচনী ফলাফলে প্রকাশিত হয় যে, পাকিস্তানের জনগণের অতি বৃহৎ অংশ জাতীয় জীবনের এই ক্রান্তিলগ্নে আপনাদের দলের উপর আস্থা স্থাপন করেছে। আমাদের মাতৃভূমির ঐক্য ও সংহতি রক্ষা এবং জনগণের রাজনৈতিক আকাংখা পূরণ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমৃদ্ধি বিধানে সক্ষম একটি শাসনতন্ত্রের আশায় দেশবাসী এখন সাগ্রহে অপেক্ষা করিবে। আমি আশা ও প্রার্থনা করি, আপনাদের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের ওপর আরোপিত শাসনতন্ত্র প্রণয়নের গুরু দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে সমর্থ হবেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি এক বিবৃতিতে জানান যে, গত ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আমাদের ইতিহাসের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে যেসব প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। বিজয়ী প্রার্থীরা এখন তাদের রায়ের মাধ্যমেই বিনম্র আর মহানুভবতা প্রদর্শন করবেন বলেই আমার বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন, এ প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের জনগণ প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষ ভোটে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অবাধ সুযোগ পেয়েছে। উত্তেজনা ছিল অত্যন্ত প্রবল কিন্তু জাতি যে সুশৃঙ্খলার পরিচয় দিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় আর তাই তা সর্বমহলে প্রশংসাও লাভ করেছে। এতে জাতির রাজনৈতিক সচেতনতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মূল পরিকল্পনা সামরিক সরকারের রয়েছে। নির্বাচন হচ্ছে তার প্রথম পর্যায় মাত্র। দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন। এ জন্যই নবনির্বাচিত প্রার্থীদের আমি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, জনগণ তাদের ভোট দিয়ে তাদের ওপর বিরাট আস্থা স্থাপন করেছে। দেওয়া নেওয়া ও সহনশীলতার ভিত্তিতে এখনই তারা শাসনতন্ত্র প্রণয়নের কাজে লেগে যান। জাতি এখন তাদের কাছে এই চাচ্ছে। জাতি তাদের ওপর যে আস্থা স্থাপন করেছে তারা তা রক্ষা করবেন এ বিশ্বাস আমার আছে। তাদের প্রচেষ্টা সফল হোক এটাই আমার কামনা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুস সাত্তার বলেন, সার্বজনীন ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর পাকিস্তান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক লোক ভোটদানের ফলে ইহা প্রতিপন্ন হয়েছে যে, দেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্র নির্ধারণ এবং যে রাজনৈতিক অবস্থার অধীনে শাসিত হবে সে সম্পর্কে নিজেদের মনোভাব জ্ঞাপনের জন্য জনসাধারণ উদগ্রীব। তিনি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, জনসাধারণ যে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং কোনো শক্তিই যে তাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী অধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে নিবৃত্ত করতে পারবে না তা প্রমাণিত হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা লক্ষ্য করে বৈদেশিক পর্যবেক্ষকরাও বিস্মিত হয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল দৃষ্টে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, জনসাধারণ অবস্থার পরিবর্তন সাধনের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। এই নির্বাচনে এটিই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা আঞ্চলিকতা ও ব্যক্তিত্বের ভিত্তিতে ভোট প্রয়োগ করেনি। তারা নীতির ভিত্তিতে ভোট প্রয়োগ করেছে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর টেলিফোনে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনা করেন এবং পূর্ব পাকিস্তানে একচেটিয়া জয় লাভের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে অভিনন্দন জানান। পাকিস্তান পিপলস পার্টির করাচী জোনের চেয়ারম্যান আবদুল হাফেজ পীরজাদা বলেন, গণপরিষদে আওয়ামী লীগ ও পিপলস পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ নির্ধারিত ১২০ দিনের শাসনতন্ত্র রচনার পথ সহজ করে তুলেছে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির করাচী শাখার সভাপতি আবদুল হাফিজ পীরজাদা বলেছেন যে, গণপরিষদের পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ও পিপলস পার্টির প্রার্থীরা বিপুলভাবে নির্বাচিত হওয়ার নির্দিষ্ট ১২০ দিনের মধ্যে শাসনতন্ত্র রচনার সম্ভাবনা উজ্জল হয়ে উঠেছে। তাঁর মতে পিপলস পার্টির প্রার্থীরা জয়লাভ করায় শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করা সহজতর হয়েছে। তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিজয়কে জনগণের বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিক সম্মেলনে এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেন যে, আমাদের জনগণ এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেছে। তারা এক অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের এ রায় প্রদানের অধিকার অর্জন করেছে। আমাদের লক্ষ্য ৬-দফা এবং তা বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তিনি দেশবাসীকে এ আশ্বাস দেন যে, ৬-দফা ভিত্তিক পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের ব্যবস্থা সম্বলিত শাসনতন্ত্র প্রণীত হবে এবং ছয়দফাকে সামগ্রিকভাবে বাস্তবায়িত করা হবে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে বিজয়ী হওয়ায় পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান ভুট্টোকে অভিনন্দন জানান। তারযোগে প্রেরিত এক ফিরতি অভিনন্দন বার্তায় শেখ মুজিব তাঁর নিকট অভিনন্দন বাণী প্রেরণ করার জন্য ভুট্টোকে ধন্যবাদ জানান। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের মতো প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ধন্যবাদ জানান। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের মতো প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান আরেকবার ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের পরিচয় দান করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এই বিজয় আসলে বাংলাদেশের শোষিত জনগণের বিজয়।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নিজ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পাকিস্তান ন্যাশনাল লীগের প্রেসিডেন্ট আতাউর রহমান খান, কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ এস এম সোলায়মান, পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্র দলের সভাপতি মওলানা নুরুজ্জামান, কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রধান মিয়া মমতাজ মোহাম্মদ দৌলতানা, প্রাদেশিক মুসলিম লীগ প্রধান খাজা খয়েরউদ্দিন, মীর সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক যান, কাউন্সিল মুসলিম লীগের নেতা এয়ার মার্শাল (অব.) নূর খান, পাকিস্তান কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী। তারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ও পশ্চিম পাকিস্তানে পিপলস পার্টির চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান ও জুলফিকার আলী ভুট্টোকে অভিনন্দন জানান। তারা সকলে দেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্র থেকে শুরু করে সকল ধরনের কর্মকাণ্ডে উভয় দলকে সহযোগিতা করার কথা ব্যক্ত করেন।
কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা যায় পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামির আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম এর বিবৃতিতে। তাঁর মতে, নির্বাচনে পাকিস্তানের রাজনীতি যুক্তির চেয়ে ভাবাবেগ দ্বারাই বেশি পরিচালিত হয়েছে। এমনকি আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্তৃপক্ষ বিগত এক বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে স্বাধীন ভাবে কাজ করার যথাযথ নিশ্চয়তা দানে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর দলের অকুন্ঠ বিশ্বাস রয়েছে। গণতন্ত্রই দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব পরিবর্তনের একমাত্র মাধ্যম বলে তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন। এই বিবৃতি প্রদানের একদিন পর গোলাম আযম শেখ মুজিবকে অভিনন্দন জানিয়ে পূর্ণ সহযোগিতা দান ও গঠনমূলক বিরোধিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঢাকায় গোলাম আযমের সভাপতিত্বে প্রাদেশিক জামায়াতে ইসলামির দুইদিন ব্যাপী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নির্বাচনী ফলাফলকে মেনে নিতে অস্বীকার করা হয়। এই সভায় বলা হয়, নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের কার্যকরী পরিষদের জরুরী সভায় দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রাতাব গৃহিত হয়। জামায়াতে ইসলামির নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ওমরাও খান জাতীয় পরিষদে নির্বাচনে অনিয়মানুবর্তিতা ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। ভোট গ্রহণকারী কর্মচারীদের আচরণ ছিল সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং প্রশংসাযোগ্য।
ন্যাপ ভাসানী পন্থীরা যদিও নির্বাচনে অংশ নেয়নি তবু ন্যাপ প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিম পাকিস্তান ন্যাপের সাথে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপের সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন। তিনি আওয়ামী লীগের এ ঐতিহাসিক বিজয়কে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার প্রশ্নে জনসাধারণের গণভোটের রায় বলে মন্তব্য করেন। নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে ওয়ালী ন্যাপের সভাপতি যান আবদুল ওয়ালী খান বলেন যে, পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে, যে দু’টি রাজনৈতিক দল প্রধানত বিজয়ীর বেশে আবির্ভূত হয়েছে, সে দুটি দল হলো আওয়ামী লীগ ও পিপলস পার্টি। দুটিই মূলত আঞ্চলিক দল। কারণ পশ্চিম পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের বুনিয়াদ নেই, পূর্ব পাকিস্তানে পিপলস পার্টির অস্তিত্বই নেই। এই ঘটনা দুই রাজনৈতিক দলের পথে প্রধান প্রতিবন্ধক স্বরূপ। এক অর্থে এর গুরুত্ব তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দেশ রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপ ওয়ালী পন্থী সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলতাফ হোসেন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন পূর্ববাংলার জনগণ গণতন্ত্র, স্বায়ত্তশাসন ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ সংগ্রাম করে আসছে। তা বাস্তবায়নে দৃঢ় সংকল্পই ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান নূরুল আমীন জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের পর তাঁর এক প্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের আস্থাশীল হিসেবে জনগণের রায়কে সম্মান করার কথা বলেন। নবাবজাদা নসরুল্লাহ খান অভিযোগ করেন, আবেগ উত্তেজনার পরিবেশে দেশে এ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) সরফরাজ খান জাতীয় পরিষদে নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য শেখ মুজিব ও ভুট্টোকে অভিনন্দন জানান। অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশিম সাধারণ নির্বাচনে বিরাট সাফল্য লাভের জন্য শেখ মুজিব ও ভুট্টোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ইসলাম কখনো বিপদাপন্ন হয়নি বা হবেও না। যারা নিজেদের ইসলাম পছন্দের দাবীদার বলে ঘোষণা করেছেন এবং ইসলামের অভিভাবক সেজে বসেছেন তারাই বিপদাপন্ন হয়েছেন। নির্বাচনে পাকিস্তানের জনসাধারণ যে উচ্চমানের রাজনৈতিক সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে তার জন্য অভিনন্দন জানান। খিলাফতে রব্বানী পার্টির চেয়ারম্যান এ এম এম মোফাখখার সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাফল্য অর্জনের জন্য শেখ মুজিবের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস উল্লেখ করেছেন- নির্বাচনের ফলাফল বিভিন্ন লোকের কাছে বিভিন্ন তাৎপর্য বহন করেছিল। আওয়ামী লীগের পতাকাতলে বাঙালীরা ছিল বিজয়োল্লাসে উল্লসিত। এই প্রথমবারের মতো তারা প্রকৃত ক্ষমতার আশায় উজ্জীবিত হয়েছিল। এর সঙ্গে অতীতের উপনিবেশিক শাসনপদ্ধতির অবসান ঘটানোর এবং দুই দশকের শোষণের প্রতিকার করার যোগ্যতা তারা অর্জন করেছিল। ভুট্টো কেবল পাঞ্জাবে এবং করাচীতে অপ্রত্যাশিত বিজয় লাভ করেও বিস্তৃত রাজনৈতিক ক্ষেত্র সম্পর্কে তার উল্লাসকে দমন করতে পারেননি। জামাতে ইসলামির মতো ধর্মভিত্তিক দলগুলো তাদের পরাজয়কে সহজভাবে স্বীকার করে নিতে পারেনি। সর্বোপরি জামাত প্রকাশ্যভাবে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে। জনগণ যেভাবে তাদের রায় দিয়েছে, সেকথা ভেবে সমগ্র দেশ চরম বিস্ময়বোধ করেছে। ….. নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে সরকার ছিল নিরপেক্ষ এবং সরকার নিজেকে কেবল পরিবর্তনশীল কর্তৃপক্ষ হিসেবে দাবী করেছিল যা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজে এবং যত শীঘ্র সম্ভব নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপার ছিল উৎসর্গীকৃত। (বাংলাদেশ লাঞ্ছিতা, পৃ. ৭২-৭৩)।
সূত্র
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যদয় – মোশারফ হোসেন।
শিক্ষার্থীরা যখন ৫ আগস্টে সামরিক বাহিনীর সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে জনগণকে সাক্ষী রেখে বন্ধ করে দিতে পারলো এবং খুব শক্ত ভাবেই বললো সরকার গঠন শুধুই আমাদের কথা মতন হবে। ঠিক তখনই তারা কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল।
এই বলিষ্ঠ তেজ ও ঔদ্ধত্যের মাঝ দিয়ে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠার বড় ধাপটা অল্প সময়েই পেরিয়ে গেল।
নতুন সরকার শপথ নিচ্ছে আজ। জনাব মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দেশের “নামী ও দামী” বলে চিহ্নিত লোকের একটা তালিকা ধরে এসব প্রোগ্রামের অতিথি ঠিক করা হয়।
এবারো তাই হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা বেধেছে মন্ত্রীসভায় ২ তরুনের অংশ নিয়ে।
এলিট ক্লাসের এরা না। হলের গনরুমে বা ডাব্লিং করা ছেলে নাহিদ আর আসিফ এবার শপথ নিতে যাচ্ছে। অভ্যুত্থানের নেতার কোটায়। অভ্যুত্থানের সরকার হতে নয়, তার শরিকানা নিয়ে।
সরাসরি রাজপথ থেকে তার বন্ধুরা এসেছে বঙ্গভবনের ভাবগম্ভীর দরবার হলে। বন্ধুদের মন্ত্রী হবার শপথ দেখতে।
পাকিস্তানে LFO আওতায় ১৯৭০ এর ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদের ও ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। LFO হোল Legal framework Order. প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ১৯৬৯ এর ২৬ মার্চ এই অর্ডারটি জারী করেন। এই নির্দেশনা পাকিস্তানের আইন প্রণয়নে গণপ্রতিনিধিত্বের বিভাজন ছিল এমন।
জাতীয় পরিষদের প্রদেশ ভিত্তিক আসন ভাগ করা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২ (+৭), পাঞ্জাবের ৮২ (+৩), সিন্ধের ২৭ (+১), বেলুচিস্তানের ৪ (+১), উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ১৮ (+১), কেন্দ্র শাসিত উপজাতি ৭ (+০)। সব মিলিয়ে ৩১৩ যার মাঝে রয়েছে নারী ১৩।
প্রাদেশিক পরিষদের আসন ভাগ করা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের ৩০০ (১০), পাঞ্জাবের ১৮০ (+৬), সিন্ধের ৬০ (+২), বেলুচিস্তানের ২০ (+১), উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের ৪০ (+২)। সব মিলিয়ে ৬২১ যার মাঝে রয়েছে নারী ২১।
নির্বাচনে ভোট গণনার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে বলা যায় জাতীয় পরিষদের ক্ষেত্রে শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় পূর্ব পাকিস্তানের (১৬০+৭) মোট ১৬৭ আসন এবং জুলফিকার আলি ভুট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তান পিপলস পার্টি পিপিপি বিজয়ী হয় পাঞ্জাবের ৬৪, সিন্ধে ১৮, উত্তর পশ্চিম সীমান্তে ১টি মিলিয়ে মোট ৮৩ আসন।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য সংরক্ষিত ১০টি মহিলা আসনে আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় পরিষদে ৭ জন নির্বাচিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত মহিলা আসন সহ ১৬৭টি আসন লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজয়ী হয়। বাকি দুইটি আসনের একটি পায় স্বতন্ত্র প্রার্থী পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজা ত্রিদিব রায় এবং পিডিপির নূরুল আমীন। স্বতন্ত্র সদস্য রাজা ত্রিদিব রায় পরবর্তীসময় আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে একটি আসনও পায় না।
৯৩ পশ্চিম পাকিস্তানে ৪টি প্রদেশের মধ্যে পাঞ্জাবে ৬৪টি, সিন্ধুতে ১৮টি ও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ১টি আসনসহ মোট ৮৩টি জাতীয় পরিষদের আসনে জয়ী হয়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টি দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ওয়ালী ন্যাপ উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে জাতীয় পরিষদের ১৮টি আসনের ৩টিতে এবং বেলুচিস্তানের ৪টি আসনের মধ্যে ৩টিতে জয় লাভ করে, পাঞ্জাব ও সিন্ধুতে জাতীয় পরিষদের কোনো আসনে জয়ী হয়নি।
১০ দিন পর অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসন লাভ করে।
পশ্চিম পাকিস্তানে নির্বাচনের ফলাফল দেখে বুঝা যায় কোনো দলই সেখানে ম্যান্ডেট পায়নি। পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে পিপলস পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে পরিচিতি পায়। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি পশ্চিম পাকিস্তানে ১৪৪টি আসনের মধ্যে ৮৮টি আসন লাভ করে। উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তান এই দুটি প্রদেশের প্রথমটিতে ১টি ও দ্বিতীয়টিতে কোনো আসনেই পিপলস পার্টি জয়ী হয়নি। পাকিস্তান ব্যাপী কেন্দ্রীয় দল ওয়ালী ন্যাপ একমাত্র বেলুচিস্তান প্রদেশেই সরকার গঠন করার মতো আসন পায়। যদিও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে তারা হাজারভী গ্রুপের সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে তারা ১টি মাত্র আসন লাভ করতে সমর্থ হলেও পাঞ্জাব ও সিন্ধুতে তারা কোনো আসন লাভ করতে পারেনি।, ডানপন্থী ধর্মীয় দলগুলো দুই অঞ্চলেই ব্যর্থ হলো।
ধারণা করা হয়, গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতেই পাকিস্তানের সামরিক সরকার এমন একটি নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সাহস করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, পাকিস্তানের দক্ষিণপন্থী দলগুলো যথা পিডিপি, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামি ও আসগর খানের গ্রুপ প্রমুখ নির্বাচনে ফল লাভ করবে।
নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ইয়াহিয়া খানের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য জি ডব্লিউ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন- ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর এবং যে কোনো মানদণ্ডেই তা ছিল অবাধ ও নিরপেক্ষ। ভাগ্যের পরিহাস এটাই ছিল অখণ্ড পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ প্রকৃত নির্বাচন। নানা মহলে ব্যক্ত অভিমতের বিপরীতে নির্বাচনী ফলাফল অন্ততঃ পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে শাসক মহল কিংবা সেখানকার রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের যে কোনো ঐকান্তিক পর্যবেক্ষকের কাছেই কোনো বিস্ময় উদেককারী ছিল না। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের নির্বাচনী ফলাফল বিস্ময়ের উৎপাদন করে বিশেষ করে সেখানে ডানপন্থী ও ধর্মীয় দলগুলোর সম্পূর্ণ পরাজয়ে এবং একজন অপাঞ্জাবী ভুট্টোর পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা হিসেবে আরো সঠিকভাবে বললে পাঞ্জাবের নেতা হিসেবে উত্থানে। (অখণ্ড পাকিস্তানের শেষ দিনগুলি, পৃ. ১২২)।
কালরাত থেকে মনে হচ্ছিল আজ ৫ আগস্ট দিনটা একটা বিশেষ দিন হবে। মার্চ টু ঢাকা প্রোগ্রামটা শাহবাগকে কেন্দ্র করে হবে তাই ঠিক করেছিলাম আমি নিজে শাহবাগ থাকবো।
পরিবাগের মুখ থেকে ৫ আগস্টের মিছিল বের করার প্রস্তুতি
আমার একটা সাদা রঙের ভেসপা আছে। ওটা নিলাম।
সকাল সাড়ে এগারোটায় বেরুলাম, বনানী হয়ে এয়ারপোর্ট রোড হয়ে শাহবাগ যাবো। কিন্তু বনানী পর্যন্ত এসে বৃষ্টির জন্য আর যেতে পারলাম না। বাসায় ফিরে টিভি খুলে দেখি ঢাকায় চরম কার্ফু। সব দিক দিয়ে ঢাকা যেন বন্ধ করে রেখেছে।
আমার মাথায় কাজ করছে আমি নিজ চোখে এই কার্ফু দেখবো শাহবাগে দাঁড়িয়েই।
সাড়ে বারোটায় আবার বেরুলাম, এবার হাতিরঝিল হয়ে এফডিসি বাংলামোটর ধরে যাবো। বেড়িয়ে দেখি রাস্তা একেবারেই শুন্য। দিনের বেলা কিন্তু গা ছমছম করার মতন নির্জন, কোথাও কোন শব্দ নাই। হাতিরঝিল বেঞ্চে যারা সারাক্ষণ শুয়ে বসে থাকে তারাও নেই। পুলিশ, ট্রাফিক বা ভিক্ষুক কেউ নেই, একমাত্র আমি চলছি। সোনারগাঁও হোটেলের মোড়ে এসে এদিক সেদিক দু একজনকে চলাচল করতে দেখেছি। বাংলামোটর পার হয়ে দেখলাম দুরে সাকুরার সামনে মিলিটারি হেলমেট। শাহবাগের দিকের রাস্তা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। একটু পিছনে অনেক পুলিশ। তার কাছাকাছি পরিবাগের গলির মাথায় দেখলাম বেশ কিছু লোক। বেশিভাগই ছাত্র ছাত্রী। সংখ্যায় খুব বেশী না, ফুটপাথে বসে আছে, দাঁড়িয়ে কথা বলছে। কোন উত্তেজনা নেই কোন কিছুর প্রস্তুতি নেই। আমি আমার বাইক একটু দূরে রেখে দিলাম। কিছু ছবি তুললাম। দুয়েকটা রিকশা এসে থামছিল। একটা থেকে তিনটা মেয়ে নামলো। একজন মাথায় হিজাব বাকি দুজন টিশার্ট। সবাই জিনস পড়েছে ও পায়ে কেডস। গতরাতে সমন্বয়কদের নির্দেশনার কথা মনে পড়লো, ওরা সবাইক কেডস পরে আসতে বলেছে আর সবার মোবাইল স্ক্রিণে নিজের নাম, ঠিকানা, ব্লাড গ্রুপ আর ইমারজেন্সি ফোন নাম্বার পিন করে রাখতে বলেছিল। এটাতো ভীষণ ভয় পাইয়ে দেবার কথা, প্রোগ্রামে নামার আগে কেও কখনো নিজ মৃত্যুঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দেয় নাকি? আমার কাছে এটাকে বেশ অভিনব মনে হয়েছিল। পরে শুনেছি অনেকেই মোবাইল স্ক্রিনে এগুলো লিখেই বেড়িয়েছিল।
সময় যত যাচ্ছিল সংখ্যাটা বাড়ছিল। এদিকে ইন্টারনেট অনেক আগ থেকেই নেই। একসময় একজন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে ফিস ফিস করে বলল পিছনের দিকে একটা গেইট আছে, খুব ইজি। দেখলাম ত্রিশের কাছাকাছি এক লোক। আমি অবাক যে হয়েছি এটা না বুঝিয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই জিজ্ঞেস করলাম কোন দিকের পিছনটা? উনি বললেন লাকের পাশ ঘিড়ে, সব রেকি করে আসছি। মাত্র দুইটা আর্মি গার্ড দিতেছে। আমি বুঝলাম উনি গণভবনের কথা বলছেন। আমি বললাম আপনি ডেইলি বের হোন? উনি বললেন প্রতিদিন প্রোগ্রামে থাকেন। একটা সাইকেল আছে। উত্তরা থাকেন। জিজ্ঞেস করলাম ওখানে কি দেখলেন? বললেন ওইখানে দশ পনেরো হাজার। আসতেছে। এটা কতটুকু ঠিক জানার জন্য এক ডাক্তার বন্ধুকে ফোন করলাম। বলল টোটালি ট্রেস, আজ কার্ফু কঠিন শক্ত থাকবে। কোথাও বেরুবে না। আমার সামনেই এক রিকশাচালককে জিজ্ঞেস করলাম কিছু জানে কিনা। বলল ২০ হাজারের কম না। নিজে দেখছি, আইতেছে। (চলবে)
এটা নিয়ে সফল আর অসফল মিলিয়ে বেশ কজন সরকার প্রধানের আইডিয়াকে মডেল হিসাবে ধরা যায়। জার্মানির হিটলার, সোভিয়েতের স্টালিন, ইটালির মুসোলীনি, কোরিয়ার কিম জং, রুমেনিয়ার চসেস্কু, ফিলিপাইনের মার্কোস, তুর্কমেনিস্তানের নিয়াজভ এসব।
এর মাঝে শেখ হাসিনা তার অবস্থান তৈরী করেছেন বেশ কিছু ব্যতিক্রম সহ।
শেখ হাসিনা কি কি কিভাবে কখন করলেন তার একটা তালিকা করা যাক।
আদর্শগত ভিত্তি ৭১ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
আইকন ফিগার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, দেশের ইতিহাসের প্রতি পর্যায়ের প্রধান ফিগার।
শক্ত পারিবারিক রাজনীতির বলয় বঙ্গবন্ধু পরিবারের নতুন দুই সদস্য শেখ তন্ময় ও শেখ জুয়েল প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছেন। দশম জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাত সদস্য ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের ৯ সদস্যই প্রতিনিধিত্ব করছেন। নৌকা প্রতীকেই বঙ্গবন্ধু পরিবারের আটজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ হেলাল উদ্দিন, নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, শেখ সারহান নাসের তন্ময় ও শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল। এছাড়াও ফরিদপুর-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী। এর মধ্যে শেখ সারহান নাসের তন্ময় শেখ হেলাল উদ্দিনের ছেলে। আর শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল হলেন শেখ হেলাল উদ্দিনের ভাই। প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল হক সেলিম ও তার ভাই শেখ মারুফ। প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই এমপি শেখ হেলাল,তার দুই এমপি ছেলে, শেখ তন্ময় ও শেখ জুয়েল।এছাড়াও রয়েছেন, শেখ হাসিনার ভাতিজা এমপি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসও শেখ ফজলে শামস। আত্মিয়দের মধ্যে রয়েছেন, ফুফাতো ভাই আবুল হাসনাত আব্দুল্লা তার ছেলে বরিশালের মেয়র সাদিক আব্দুল্লা। এছাড়াও রয়েছে, শেখ সেলিমের বোনের স্বামী যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। আবুল হাসনাত আব্দুল্লার বোনকে বিয়ে করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রশিদুল আলম তিনি মাহবুব আলম হানিফের ভাই। এর বাইরে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ নূর এ আলম চৌধুরী ও এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী(নিক্সন)। এর বাইরে শেখ হেলালের কন্যার জমাতা বিএনপি নেতা আন্দালিব রহমান পার্থও রয়েছেন আত্মীয়ের তালিকায়।
গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও সংবিধান
সামরিক বাহিনী
বিচার ব্যাবস্থা
বেসামরিক প্রশাসন
পুলিশ
আঞ্চলিক সরকার ও রাজনীতি
সমিতি, কমিটি
কোন শব্দটা পারফেক্ট হয়?
ডিক্টেটর noun: dictator person who behaves in an autocratic way.”for some reason he’s being a dictator—saying this is the way we’re going to do it”
অটোক্র্যাট noun: autocratic taking no account of other people’s wishes or opinions; domineering.
অথরেটারিয়ান adjective: authoritarian favouring or enforcing strict obedience to authority at the expense of personal freedom.”the transition from an authoritarian to a democratic regime”
সোর্স ডেইরী ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন কেরানীগঞ্জে ফিট অ্যান্ড ফ্রেশ এগ্রো প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. গোলাম রাব্বানী
তথ্য ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলায় দুই হাজার খামার রয়েছে সারাদেশে গবাদিপশুর খামারের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছরের ব্যবধানে দেশে গবাদিপশুর সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ লাখ। অন্যদিকে দশ বছর আগে মাংস উৎপাদন ছিল ৪৫ লাখ টন, এখন সে পরিমাণ ৮৭ লাখ টন। সে হিসাবে এক দশকে দেশে মাংস উৎপাদন ৪২ লাখ টন বেড়েছে।
ফার্মারসঃ কাজি, প্যরাগন, ডায়মন্ড, নাইস সহ প্রায় ১৬টি।
ডিম আমদানিকারকঃ ঢাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর মেসার্স মিম এন্টারপ্রাইজ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার হিমালয় শান্তিনগরের মেসার্স প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশ তেজকুনিপাড়ার মেসার্স জামান ট্রেডার্স যশোর চৌরাস্তা মোড়ের মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্স সাতক্ষীরার লবশা এলাকার মেসার্স সুমন ট্রেডার্স রংপুরের ভগী এলাকার আলিফ ট্রেডার্স
ফার্মার মানে পোল্ট্রির সাথে ৫০/৬০ লক্ষ লোক সম্পর্কিত মধ্যস্বত্বভোগী ফার্মার থেকে ডিম জোগাড় করে আড়তকে সাপ্লাই করে আড়ত খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করে।
Freedom House rates people’s access to political rights and civil liberties in 210 countries and territories through its annual Freedom in the World report.
Individual freedoms—ranging from the right to vote to freedom of expression and equality before the law—can be affected by state or nonstate actors. Click on a country name below to access the full country narrative report.
Albania, Canada, Iceland, Norway, Turkey AND United States are all in NATO, but not in the EU.
Six EU member states, all who have declared their non-alignment with military alliances, are not NATO members: Austria, Cyprus, Finland, Ireland, Malta, and Sweden. Additionally, Switzerland, which is surrounded by the EU, has also maintained their neutrality by remaining a non-EU-member.
EU Countries List
Following is the complete list of EU countries and their accession date into the block:
Austria
January 1, 1995
Belgium
March 25, 1957
Bulgaria
January 1, 2007
Croatia
July 1, 2013
Cyprus
May 1, 2004
Czech Republic
May 1, 2004
Denmark
January 1, 1973
Estonia
May 1, 2004
Finland
January 1, 1995
France
March 25, 1957
Germany
March 25, 1957
Greece
January 1, 1981
Hungary
May 1, 2004
Ireland
January 1, 1973
Italy
March 25, 1957
Latvia
May 1, 2004
Lithuania
May 1, 2004
Luxembourg
March 25, 1957
Malta
May 1, 2004
Netherlands
March 25, 1957
Poland
May 1, 2004
Portugal
January 1, 1986
Romania
January 1, 2007
Slovakia
May 1, 2004
Slovenia
May 1, 2004
Spain
January 1, 1986
Sweden
January 1, 1995
Countries In the Process of Joining the EU
The following countries are still under negotiations to join the EU in the future:
ব্রেকফাস্ট মাচান , গুলশান শাহজাদপুর, +8801311339140 হোলি বেকারী, গুলশান ২ Dhaka Boithok (Plot 18, Road 4, Block F. Banani +8801873671518). Tagore Terrace, Coffee (House 44, Road 12, Block E, Banani, +8801714070077) Albetron, Spanish food Uppercrust Boulangerie & Patisserie C House Milano (Unimart, 01755-533317) White Cannery Cafe (2 House 12A, Road 86, Gulshan Next to Tank Park) The White Canary Cafe’s Expresso Bar 9186 Bir Uttam Mir Shawkat Sarak Level 3, Shanta Western Tower) Eden, Coffee (2 House-1A, Road- 61 & 56, Block- NW, Gulshan, +8801300586881)
Khulna Chuknogor, Abbas Hotel. Khashir Mangsho. Chittagong Nizam Hotel, Station Rd Rajshahi Katakhali, Ekota restaurant, Kalavuna. Natore Buffet lunch – Pochur Hotel, Natore Bypass Deshi murgi & Nodir mas – Taj Hotel Tongi 60 vorta & 40 curry – niribili restaurant, Took bazar, Kapashia
দিনলিপি
০১.০১.২০১২ : বেশ শীত, কেউ বীজ উঠানে শুকায়;
০২.০১.২০১২ : ডানা থেকে শিশির ঝাড়লো পাখি,
ছাদে বুড়ো পায়রা ওড়ায়;
০৩.০১.২০১২ : হাজার হাজার বিপরীত শব্দ
স্কুলের সবুজ ব্যাগে নিয়ে যাচ্ছে একদল শিশু।
আমরা, তোমরা আর আমি তিরিশটা দিন কি লিখবো?
পঞ্জিকার পাতায় একটি কালো পাখি নেমে যাচ্ছে শিকারের দিকে,
নখের নিচেই ঢেউ শুধু ঢেউ।
৩১.০১.২০১২ : বসন্ত আসছে, এইরকম আশার স্বপ্ন আকাশও দেখছে না।
(জাহিদ হায়দারের কবিতা)