বিচিত্রা ২২ জুন ১৯৭২
কাজী আনোয়ার হোসেন
ছেলেটাকে পিটিয়ে মারল লোকগুলো। এই সেগুন বাগানে, একশো চল্লিশ নম্বর বাড়ীর সামনে, রাজার তেমাথায়। গতকাল তেরই মে, শনিবার, বেলা বারোটায়।
দোষী মনে হচ্ছে আমার নিজেকে।
দোতালায় বসে লিখছিলাম। সকাল সোয়া দশটা। টাশশ করে একটা পিস্তলের আওয়াজ। তারপর হৈ চৈ। বারান্দায় বেরিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম। গাছপালার জন্যে দেখা যাচ্ছে না। তিরিশ গজ দূরে রাস্তার ঐ তেমাথায় গোলমাল।
আবার এসে লিখতে বসলাম। কিন্তু চিৎকার বেড়েই চলেছে। আবার বারান্দায় এলাম। রাস্তার লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম, বলল—দুজন ডাকাত ধরা পড়েছে। খানায় ফোন করেই ক্যামেরা নিয়ে ছুটলাম, ছবি তুলব ডাকাতের।
দেড়শো-দুশো লোক জড়ো হয়ে মারছে। অনেককে জিজ্ঞেস করলাম—কি ব্যাপার? কেউ সঠিক কোন জবাব দিতে পারল না। আসলে কি হয়েছে কেউ জানেই না ঠিকমত! টুকরো টুকরো জানা গেল: বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কোন এক ব্যাঙ্ক লুট করে পালাচ্ছিল তিনজন হাইজ্যাক করা গাড়ী নিয়ে, ব্যাঙ্কে একজনকে গুলি করে মেরে রেখে এসেছে, বাধা দেয়ার চেষ্টা করায় একজন ট্রাফিক পুলিশকে গুলি করে হত্যা করেছে, পিছু ধাওয়া করেছিল পুলিশ—দিশে হারিয়ে রাস্তায় গাড়ী চাপা দিয়ে মেরেছে দুজনকে, কলেজ অব মিউজিকের সামনে একটা রিক্সাকে ধাক্কা মেরে উল্টে ফেলে দিয়ে গাড়ী থেকে নেমে দৌড় দিয়েছে, পালাবার সময় গুলি ছুড়েছে রিভলভারের, একজন পালিয়ে গেছে, বাকি দুজন ধরা পড়েছে, লোকজন মারছে ওদেরকে। কেউ বলল ওরা রাজাকার, কেউ বলল বিহারী, কেউ বা বলছে নক্সালাইট, আলবদর।
ঠেলাঠেলির মধ্যে আরেকটু এগিয়ে ছবি তুলতে শুরু করলাম। দেখলাম একজন সাদা ইউনিফরম পরা ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে। হাতে একটা রিভলভার।
এই নিরিবিলি এলাকায় এত লোক কোথা থেকে জড়ো হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। সবাই মারছে। ডাল ভেঙ্গে নিয়েছে কেউ কাঁঠাল গাছের, এরই মধ্যে মোটা একটা মুগুর সংগ্রহ করে ফেলেছে একজন কোথা থেকে। কিল, ঘুষি, লাথি, কনুই চলেছে এন্তার। উন্মত্ত হয়ে উঠেছে লোকগুলো। একটা কণ্ঠস্বর শুনা গেল—ছুরি লইয়া আয়, জবো কইরা ফালামু শালারে।
মারের চোটে রাস্তায় শুয়ে পড়ল সিদ্দিক। রোববারের কাগজ দেখে ওর নামটা জানতে পারলাম। নীল হয়ে গেছে মুখ, গা। কুঁকড়ে পড়ে আছে মাটিতে, থামছে না মার।
এদের প্রতি পাঠকের সহানুভূতি আনার চেষ্টা করছি না। আমি শুধু বলতে চাই, কেউ জানে না কেন ওদের মারা হচ্ছে। দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে সবাই। মেরেই চলেছে নেশাগ্রস্তের মত।
ক্যামেরার স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে গেল ধাক্কাধাক্কিতে। ওদিকে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে পাঁচিল টপকে মহিলা পরিষদের অঙ্গনে লাফিয়ে পড়েছে অপর ছেলেটা। নাম ফারুক। ত্রিশ চল্লিশ জন ঢুকে পড়ল পিছু পিছু। শিলা বৃষ্টির মত পড়ছে কিল ঘুষি। আরো কয়েকটা লাকড়ি সংগ্রহ করে ফেলেছে জনতা, ততক্ষণ রক্তে ভেসে যাচ্ছে ফারুকের সর্বাঙ্গ। হঠাৎ দেয়ালের পাশে কয়েকটা কয়েকটা দশ ইঞ্চি ইটের সন্ধান পেল জনতা। তাই দিয়ে মারতে শুরু করল দমাদম।
ক্যামেরা হাতে আমাকে দেখে হয়ত ফারুক মনে করল আমি সাংবাদিক, হয়ত সাহায্য পাবে আমার কাছে। ছুটে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল আমার বুকে।
‘বাঁচান, ভাই। আমারে বাঁচান।’
চোখের একপাশ ফেটে গেছে, নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে দরদর করে। সুন্দর, স্বাস্থ্যবান ছেলেটা—বিশ বছর বয়স হবে—বিবর্ণ হয়ে গেছে চেহারা, অসহায়, কাতর দৃষ্টি আমার মুখের ওপর। অসীম আকুতি ওর ওই দুই চোখে। হাঁপাচ্ছে। রক্তের ছোপ লেগে গেল আমার সার্টে, ঠিক বুকের কাছে। খামচে ধরেছিল, ছিঁড়ে গেল গেঞ্জিটা টান লেগে। ছিনিয়ে নিয়ে গেল ওকে ক্রুদ্ধ জনতা।
পারলাম না। বাঁচাতে পারলাম না আমি ফারুককে। নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে এখন। আমি জানতাম না মারা যাবে ছেলেটা। তখন বুঝতে পারলে হয়ত চিৎকার করে মানুষকে বোঝাবার চেষ্টা করতাম, বলতে পারতাম—বিচার পাওয়ার অধিকার আছে ওর। হয়ত আমার কথা শুনত কেউ কেউ। হয়ত কিছুটা কমত মারের পরিমাণ। অনেক কিছুই মনে হচ্ছে এখন। যদি বলতাম, ঠিক আছে, কে কে মারতে চাও, এসো, কিন্তু মরে গেলে দায়ী হতে হবে তোমাদের—যদি বলতাম, খবর্দার কেউ ওর গায়ে হাত দেবে না, পুলিশের হাতে জ্যান্ত তুলে দিতে হবে ওকে পুরো দলের খবর বেরোবে ওর কাছ থেকে—কিম্বা সত-আট জন লোক সংগ্রহ করে নিয়ে যদি রুখে দাঁড়াতাম, দু-চার ঘা পড়ত আমার পিঠে, কিন্তু তাহলে হয়ত বেঁচে যেত ছেলেটা। কার না জানি চোখের মণি।
অনেক কিছুই তাবছি এখন, অনেক কিছুই করা যেত, কিন্তু কিছুই করতে পারিনি। মেরে যে ফেলবে, একথা ভাবতেই পারিনি আসলে। ভেবেছি, নিশ্চয় কিছু একটা দোষ করেছে, আমি জানি না, কিন্তু যারা মারছে তারা কি কিছুই না জেনে মারছে। ভেবেছি, পুলিশ আসছে, পুলিশের হাতে তুলে দিলেই ঝঞ্জাট শেষ। নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভূমিকা পালন করেছি আমি। দায়িত্বজ্ঞানহীনের কাজ করেছি। রাত আড়াইটা-তিনটা পর্যন্ত ফটোগুলো ডেভেলপ ও প্রিন্ট করে পরদিন এ নিয়ে লিখতে বসলেই এ অপরাধ বোধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। কিছু না কিছু চেষ্টা করা উচিত ছিল আমার।
এলো পুলিশ। কিন্তু তখনো মেরে চলেছে ওরা। কাছে এগোনো যাচ্ছে না ভিড় ঠেলে। মনে হল, ক্ষিপ্ত জনতার হাবভাব ঠিক বুঝতে না পেরে দৃঢ় ভূমিকা গ্রহণ করতে দ্বিধা করছে পুলিশ। দেখলাম পুলিশের সামনেই টেনে-হিঁচড়ে মহিলা পরিষদের সিঁড়ি থেকে রাস্তায় নামিয়ে আনছে ওরা ফারুককে।
ভাবলাম, তবু পুলিশ নামের গুণ আছে, অবস্থা আয়ত্তে আনতে অসুবিধে হবে না। হাঁপ ছেড়ে ফিরে এলাম বাসায়। মিনিট দশেক পরই ছুটে এল নীচতালার চাকরটা। বলল—মেরেই ফেলেছে একজনকে।
‘কীভাবে মারল? পুলিশ কি করছে?’
একটাকে নিয়ে চলে গেছে পুলিশ। আর আরেকটাকে (ফারুক) নিতে পারেনি। দম ছিল কিছুটা, গলায় পা দিয়ে দম বের করে দিয়েছে লোকেরা।
ছুটলাম আবার।
মরে পড়ে আছে ফারুক। পরনে শুধু জাঙ্গিয়া। সার্ট খুলে নিয়ে গেছে কেউ। প্যান্টটা কেন হাঁটুর নীচ পর্যন্ত টেনে নামান হয়েছে বোঝা গেল না। রাস্তার ওপর চিৎ হয়ে পড়ে আছে লাশটা। পাশে পড়ে আছে ছেঁড়া একটা কাঁঠাল পাতা।
বুকটা ধরে আসতে চায়। অন্যায় করেছি আমরা ফারুকের উপর। যত দোষই করে থাকুক, থানা আছে, পুলিশ আছে, আইন আছে, আদালত আছে—আমার আপনার মতই বিচার পাওয়ার অধিকার ছিল ওর। এমন একটি জনতা ওর বিচার করল, আসল ঘটনা সম্পর্কে যাদের স্পষ্ট কোন ধারণাই নেই। এর নাম জনতার বিচার।
পুলিশ সূত্রের উল্লেখ করে আসল ঘটনাটা ছাপা হয়েছে রোববার এই পত্রিকাতেই। আপনি নিশ্চয়ই পড়েছেন? জানা গেল: ব্যাঙ্ক লুট করেনি ওরা, গাড়ীটা হাইজ্যাক করা কি না তাতে সন্দেহ আছে, ব্যাঙ্কের কাউকে গুলি করে খুন করেনি ওরা, ট্রাফিক পুলিশ নিহত হয়নি ওদের গুলিতে, এবং রাজাকার বা আলবদরের কেউ ছিল না ওরা। ব্যাপারটা অন্য কিছু।
স্বাধীনতার পর দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে, প্রাণের মূল্যই কি শুধু কম থাকবে?
যখন কোন বই কেনার কথা ভাবি দেশে বিদেশে যেখানেই থাকি অনলাইনে অর্ডার করে ফেলি। ঢাকায় আমার কাজের ঠিকানায় ডেলিভেরি দেয়।
বইটা হাতে পেয়ে প্রথম কাজ হয় পিডিএফ করে আমাকে জানিয়ে দেয়া যে বইটা আমার পড়ার জন্য অনলাইনে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
ছাপানো বইটার ডেলিভারী হাতে পাবার ২/৩ ঘণ্টার মাঝেই আমি পড়তে পারি সে আমি এয়ারপোর্ট বা হোটেল বা দূরের কোন ভ্রমনেই থাকিনা কেন।
এভাবে আমার একটা অনলাইন লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। চাইলে আপনিও বই পড়তে পারেন।
সমন্বয়ক আবদুল কাদের
কোটা সংস্কারকে উদ্দেশ্য করে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল; কিন্তু সরকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে আন্দোলন ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় নয় দফার অবতারণা হয়।
আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলাম; কিন্তু ১৬ তারিখ মঙ্গলবার আবু সাঈদ সহ ৬ জন যখন শহীদ হয়, ঐদিন রাত ১২ টায় সামনের সারির সমন্বয়করা মিলে আমরা একটা অনলাইন মিটিং করি। মিটিং-এ প্রথম এজেন্ডা-ই ছিল, আজকে যে ছয়জন শহীদ হইলো, এই ছয়টা লাশের বিনিময়ে শুধু কোটা সংস্কার কি না? তখন সবাই হই হই করে বলে উঠে, ছয়টা লাশের বিনিময়ে শুধু কোটা সংস্কার হতে পারে না। পরবর্তীতে দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা করা হয়। এই আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিসহ আরো কিছু দাবি দাওয়া উঠে আসে। বলে রাখা ভালো, আমরা এতোদিন “বাংলা ব্লকেড” থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ সহ নানান সফট এবং হার্ড কর্মসূচী নিয়ে মাঠে অবস্থান করেছিলাম; কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে একেবারে নির্বিকার-নির্লিপ্ত মনোভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল। আলাপ-আলোচনার দ্বারধারে নাই সরকার, কেবল হাইকোর্টে কাঁধে বন্দুক রেখে চুপচাপ দেখে যাচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি যখন বেগতিক হয়ে যায়, ৬ জন শহীদ হয়, ঐদিনই সরকার আলোচনার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয়, আমাদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ দিতে থাকে আলোচনায় বসার জন্য। কিন্ত আমরা আলোচনার আহ্বানকে বারাবরের মতোই প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করি। যদিও ভিতর বাহির থেকে আলোচনায় বসার নানারকম চাপ আসছিল।
সরকার সংলাপের আহবান ফরমালি জানিয়েছিল কিন্ত সেটার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অবস্থান ফরমালি ক্লিয়ার করি নাই। ক্লিয়ার করার সুযোগও পাই নাই। বুধবার গায়েবানা জানাযায় ঢাবি ক্যাম্পাসে পুলিশ আমাদের উপর গুলি চালায়, আমি সহ কয়েকজন আহত হই। হান্নান মাসউদ গুলিবিদ্ধ হয়। তখন থেকেই আমরা আন্দোলন পরিচালনা করে যাবার স্বার্থে কৌশলী অবস্থান নিয়ে গ্রেফতার এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। যদিও সরকারের সংলাপকে প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার রাতে আমরা কিছু দাবি দাওয়া ঠিক করেছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করে যে সেই দাবিগুলো ফাইনাল করবো সে সময় পাইনি। তবে আমরা বৃহস্পতিবার মাঠের কর্মসূচি ( কমপ্লিট শাটডাউন) দিয়ে নিজেদের অবস্থান ক্লিয়ার করেছিলাম।
বৃহস্পতিবার আমি আর আসিফ ভাই এক বাসা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্যে চলে যাই। ঐদিন ১৮ তারিখ রাতেই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। আমরাও কর্মসূচি চলমান রাখতে, গ্রেফতার এড়াতে বার বার জায়গা পরিবর্তন করে বেড়াচ্ছি। কারো সাথে তেমন কোনো যোগাযোগ করতে পারতেছি না।
আন্দোলনের শুরুতেই নাহিদ ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে এক লোকের সাথে মিট করায় এবং পরবর্তীতে আন্দোলনের পারপাসে একাধিকবার ঐ লোকের সাথে যোগাযোগ হয়; পরবর্তীতে জানতে পারি তিনি ঢাবি শিবিরের ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। কিন্ত তখনও শিবিরের সভাপতি এবং সেক্রেটারির সাথে ঐভাবে যোগাযোগ হয় নাই।
শুক্রবার যাত্রাবাড়ি এলাকায় যখন আন্দোলন করছিলাম তখন শিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি ফরহাদ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলল- “আন্দোলনরত কয়েকজন সমন্বয়ক সরকারের মন্ত্রীদের সাথে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে, এতো এতো শহীদের রক্তের সাথে বেইমানী করতেছে তারা। আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে। কিছু দাবি-দাওয়া দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, মানুষের সাথে বেইমানি করা যাবে না।”
আমি সম্মতি জানাই। আমাদের তো আগেই অবস্থান ছিল আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার। তাছাড়া মঙ্গলবার রাতের মিটিংয়ে ঠিক করা কিছু দাবি দাওয়া আমার মাথায় আছে।
আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার মতো মাঠে কোনো সিনিয়র নাই। আসিফ-নাহিদ ভাইকে গুম করে রেখেছে। আমি সাত-পাঁচ না ভেবে রিস্ক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ঐদিন জুমার নামাজের পর পরই যাত্রাবাড়ীতে কয়কজন শহীদ হয়, সবগুলা আমার চোখের সামনেই ঘটতেছে। মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলতেছে, এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারতেছিলাম না। তাছাড়া দীর্ঘদিন জেল-জুলুম, হামলা-মামলার শিকার হয়ে হাসিনার এমন অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছি; মাথা নত করি নাই। আমার পরিণতি কি হবে, সেটা ঘুনাক্ষরেও কল্পনা করি নাই। চোখের সামনে মানুষ মেরে ফেলতেছে, মানুষের কথা চিন্তা করে নিজের জীবনের কথা ভাবার সময় পাই নাই। গত ৪/৫ বছর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই আমাদেরকে দৃঢ়তা ধরে রাখার শিক্ষাই দিয়েছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরার সিদ্ধান্ত নিই।
যাইহোক, কিছুক্ষণ বাদে শিবিরের সেক্রেটারি আমাকে আবারও ফোন দিল। বলতেছে, “কিছু দাবি দাওয়া খসড়া আকারে করছি, তোমার সাথে আলোচনা করি”৷ আমাদেরও যেহেতু আগেই আলোচনা হয়েছিল অনেকগুলো দাবির ব্যাপারে সেগুলো তখন উনার সাথে আলোচনা করে সমন্বিত ভাবে তৈরী হয় ৯ দফা।
তিনি একে একে কিছু দাবি বললেন। যেগুলা খুব কমন দাবিদাওয়া- যেমন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ, ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত পুলিশ প্রশাসনকে বরখাস্ত, সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা, ভিসি’র পদত্যাগ। যেগুলা ৬ জন শহীদ হওয়ার পরে মঙ্গলবার রাতের বৈঠকের আলোচনাতেই আমরা ভেবেছিলাম। এছাড়া মানুষজনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু দাবিদাওয়া জানিয়ে আসছিল। শেষের দিকে গিয়ে শিবিরের সেক্রেটারি একটা দাবি এড করল- “ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে” এটা আমি মানি নাই, দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা হইলো। পরে আমি বললাম, ঢালাওভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাবে না, এক্ষেত্রে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলতে পারেন। পরে সেটাই ঠিক হইলো- “লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে”
এই হইলো নয় দফা তৈরির পেছনের গল্প। তবে নয় দফা প্রচার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল শিবির। যেহেতু নেট নাই, গোলাগুলি-কারফিউ’র মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সশরীরে হাউজে হাউজে পৌঁছে দিয়েছে, বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা তারাই করেছে।
আমাকে নতুন একটা সীম এবং মোবাইল কালেক্ট করার পরামর্শ দিল তারা। আমি স্টুডেন্ট এর বাসা থেকে সীম নিয়ে ঐ নাম্বারটা নয় দফা সংবলিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির সাথে দিয়ে দিলাম। ঐদিন সন্ধ্যায় বাসা থেকে ৪-৫ কিলো দূরে হেটে গিয়ে পরিচিত সাংবাদিকদেরকে ফোন দিয়ে নয় দফার বিষয়টা জানাইলাম। টুকটাক ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের সাথে আমার পরিচয় ছিল। তো ঐ রাতে তাদের অনেককে একটা একটা করে দফা বাটন ফোন দিয়ে ম্যাসেজের মাধ্যমে দাবিগুলা লিখে পাঠাইছি। পুরা নয়টা দাবী একসাথে ম্যাসেজে পাঠানো যায় না। কাউকে আবার মুখে বলে দিছি, সে লিখে নিছে। কেউ আবার রেকর্ড করে নিছে। কনফার্ম হওয়ার জন্য অনেকেই ফোন দিছে, এটা আসলেই আমি দিছি কি না। বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলাকেও ফোন দিয়ে কনফার্ম করা লাগছে, ‘আমার পক্ষ থেকে এটা যাচ্ছে, আপনাকে একজন পেনড্রাইভের মাধ্যমে পৌঁছে দিবে।’ এইভাবে চলল রাতের ১১ টা পর্যন্ত।
প্রতিদিন রাতের বেলায় বাসা থেকে দূরে চলে যেতাম। ফোন অন করে সাংবাদিকদের সাথে ২-৩ ঘন্টা কথাবার্তা বলে, তাদেরকে কনফার্ম করে, ফোন বন্ধ করে আবার বাসায় ফিরতাম। সিনিয়ররা গুম অবস্থায় ছিল, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছিলো না বাকিদের সাথেও। এইভাবেই চলতে থাকলো। আমার বাসা ছিল যাত্রাবাড়ী থানার পাশেই। গ্রেপ্তারের আতঙ্ক, তারপরও বাসায় থাকতে হতো। শুরুতেই যাওয়ার
কোনো জায়গা ছিল না। কোনো রাত মসজিদে কাটাইছি, কোন রাত অর্ধেকটা বাহিরে কিংবা বাসার ছাদে কাটিয়ে শেষ রাতে বাসায় ফিরেছি।
এইতো ঐতিহাসিক নয় দফা, আমাদের নয় দফা,
ফ্যাসিস্ট হাসিনা থেকে মুক্তি লাভের সনদ!
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার।
https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=pfbid0mQ4NKscFNVU6L7fW6rCdmBvgSXgDpXC8wQmN8Zb2FbEUthYwPa1eQmpA1xzGGXEtl&id=100013950997233
The man in the middle is Mahfuj Abdullah.
You can say he was the brains behind the Student Revolution. Mahfuj is known for his addabaji and erudition.
He knows about every political group and the political settlements we had since the Partition of British India.
He knows the mental make-up of every political leader in the country.
He has encyclopaedic knowledge of political events and why they succeeded or failed.
I know Mahfuj for over four years. He did a short journalistic stint while he was still a student of law at Dhaka University. His friends including Akhter Hossen or Akram Hossain, pictured here, were heavily involved in the student protest of 2018. Mahfuj was close involved but did not belong to any party. When Akhter and Nahid Islam, the face of the movement, launched Gonotantrik Chhatra Shakti ( Democratic Student Force), Mahfuj took an active interest in the party. They wanted to build a student movement free of any political connection.
When the High Court restored the quotas, Mahfuj, Akhter, Nahid, Asif and Baker Majumder saw the opportunity to organise a successful movement. Newly married Akhter stepped back for his legal practice. Mahfuj became the chief strategist. Nahid and Asif the faces of the movement and Baker the main organiser. But instead of turning the GCS the main frontliners of the movement, Mahfuj and the three came up with the idea to create an umbrella group called the Students Against Discrimination( SAD).
I met Mahfuj early in July when they just launched the Bangla Blockade protests. Mahfuj was hugely euphoric about the success. He wanted to bring in the women and they were pouring in from all corners. At a Shahbagh rally, he told me: Bhai, we came to Shahbagh today. Next month we will be in the Ganobhaban.” He kept his word, but it came five days later. But students said it happened on the 36th July.
Mahfuj’s big strategy was to fix the language of the movement. He worked aggressively to bring disparate group of protesters under the fold. He helped select more than 55 coordinators of SAD. The idea was that if Nahid or Asif or Sargis or Hasnat were arrested, there would be enough people to take the movement forward. They dropped any Islamist keaning student from the list of coordinator or anyone from the JCD, the student group of the BNP, so that the government and the ruling party can’t portray the SAD as a pro-BNP or pro-Jamaat group.
Mahfuj and Nasir Abdullah, a former Chhayra Federation chief, also kept the leftist student groups at bay. There are overwhelming perception among the centrist student that leftists are the B team of the BCL, the student group of the then ruling Awami League party. Only after the movement got some traction and widespread popularity that they brought the leftist groups into the movement. The Islamist students joined the movement only in the last three days of the protests.
In my last write-up about the SAD, I didn’t mention Kahguj’s name because of the pervasive fears that he will be arrested. His friend Akhter was arrested very early and Mahfuj was needed to show the direction from behind the scene. Mahfuj too went into hiding, changing homes every day. He also employed posse of people to ensure that the news of the movement and its every action plan are spread to social media and the local media.
After the overthrow of Hasina, Mahfuj also played a big role in the formation of the interim government. He was in the student negotiation team which held talks with the army chief and the president. Behind the scene they were also holding talks with all the political parties except Awami League to bring acceptable people to the interim government cabinet. Mahfuj thinks his job is still not done. They want to push crucial reforms to restore democracy and create institutions that ensure check and balance in the state. They also want to document every murder committed by Hasina’s security forces during the student carnage.
Right now, Mahfuj wants to get married and complete his masters in law. He is still worried about his security. When I called him at around 1pm, he said he just woke up after a long sleep. “I can see we have a long and hard journey ahead,” he said. “But first I need some sleep”
———–
By Shafiqul Alam, Ex AFP
Lee Kuan Yu wrote in the chapter Inside the Commonwealth Club of his book From third world to first The Singapore Story 1965-2000 about his experience during Ottawa meeting of Commonwealth Countries in 1973 .
Another person I remember from the Ottawa meeting was Prime Minister Sheikh Mujibur Rahman, the hero who had opposed Pakistan and led East Pakistan to independence as Bangladesh. He arrived in style at Ottawa in his own aircraft. When I landed, I saw a parked Boeing 707 with “Bangladesh” emblazoned on it. When I left, it was still standing on the same spot, idle for eight days, getting obsolescent without earning anything. As I left the hotel for the airport, two huge vans were being loaded with packages for the Bangladeshi aircraft. At the conference, Mujibur Rahman had made a pitch for aid to his country. Any public relations firm would have advised him not to leave his special aircraft standing for eight whole days on the parking apron. The fashion of the time was for leaders of the bigger Third World countries to travel in their own aircraft. All leaders were equal at the conference table, but those from heavyweight countries showed that they were more equal by arriving in big private jets, the British in their VC 10s and Comets, and the Canadians in Boeings. The Australians joined this select group in 1979, after Malcolm Fraser’s government purchased a Boeing 707 for the Royal Australian Air Force. Those African presidents whose countries were then better off, like Kenya and Nigeria, also had special aircraft. I wondered why they did not set out to impress the world that they were poor and in dire need of assistance. Our permanent representative at the UN in New York explained that the poorer the country, the bigger the Cadillacs they hired for their leaders. So I made a virtue of arriving by ordinary commercial aircraft, and thus helped preserve Singapore’s Third World status for many years. However, by the mid-l 990s, the World Bank refused to heed our pleas not co reclassify us as a “High Income Developing Country,” giving no Brownie points for my frugal travel habits. We lost all the concessions that were given to developing countries
Canadian Prime Minister Pierre Trudeau was the chair of the 2nd C’wealth Head of Govenment Conference held on 2 to 10 August 1973 .
Bangladesh and Bahama were integrated in the ornganisation after their libertaions. B’Desh enterded within 18 months of her independence.
On March 4, 1972, Biman spread its wings to international destinations with a weekly flight to London using a Boeing 707 chartered from British Caledonian.
.
১৯৭০ এর সাধারন নির্বাচনের একটা প্রধান টাস্ক ছিল পাকিস্তানের জন্য সংবিধান প্রণয়ন করা। তার সময় সীমা বেধে দেয়া হয় প্রথম অধিবেশন থেকে ১২০ দিন। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রাপ্ত আসনের অধিকারি হিসাবে দ্রুতই সংবিধান প্রনয়নের কাজে নেমে পরে।
৩ জানুয়ারী ১৯৭১ ঢাকার রেসকোর্স মাঠে আওয়ামীলীগের বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ জনসভায় ৬দফা ও জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের প্রশ্নে নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের গণশপথ গ্রহন করানো হয়। এ শপথ অনুষ্ঠানের কিছুদিন পরেই আওয়ামীলীগ সংসদীয় কমিটি সংবিধান রচনার উদ্দেশে একটি সাবকমিটি গঠন করে।
১ মার্চ ১৯৭১ সকালে আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সংবিধান সাব কমিটি তাদের রচনা করা খসড়া সংবিধান পেশ করে। এই বৈঠকে পাঞ্জাবের মালিক সরফরাজ সহ পশ্চিম পাকিস্তানের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় কমিটি খসড়া সংবিধানের অনুমোদন দেয় এবং শেখ মুজিব খসড়াটির প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের জন্য সংসদীয় কমটিকে দায়িত্ব দেয়।
২৩ মার্চ ১৯৭১ সন্ধ্যায় শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষ থেকে খসড়া সংবিধানটি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে পেশ করা হয়। প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে খসড়ার মুল অংশ তাদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়েছে ও পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। তার দুদিনের মাঝে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় সামরিক সরকার তাদের অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করে এবং পাকিস্তানের সংবিধান নিয়ে কোন বৈঠক হয় নাই।
Draft CONSTITUTION OF THE FEDERAL REPUBLIC OF PAKISTAN (1971)
Preamble
In the name of Allah, the Beneficent, the Merciful, We, the peoples of the autonomous States of Bangla Desh, the Punjab, Sind, Pakhtunistan and Baluchistan,
Having by our common struggle against colonial rule attained the right of self determination,
In order to secure for ourselves and for our posterity the right to live in freedom and with
dignity and to establish a real, living democracy, wherein equality and justice, political, economic and social, would prevail,
Having had to struggle, since independence, against successive susrpers of the power, which rightfully belonged to the people,
Having now attained victory, as a result of the heroic sacrifices of the martyrs who laid down their lives in order to end exploitation of man by man, and region by region,
Resolving that the high ideals for which they laid down their lives shall be fundamental principles of the Constitution,
Further resolving that guarantees shall be embodied in this Constitution to enable the peoples of Pakistan, Muslims, Hindus, Buddhists, Christians Persians and of other religions to profess and practise their religion and to enjoy all rights, privileges and protection due to them as citizens of Pakistan, and in pursuance of this object to enable the Muslims of Pakistan, individually and collectively, to order their lives in accordance with the teachings of Islam as set out in the Holy Quoran and the Sunnah,
Affirming that the Constitution shall effectively guarantee supremacy of civil power, exercised through elected representatives of the people, over the armed forces and all military authorities;
Solemnly pledging that it is our sacred duty to abide by and to safeguard, protect and defend this Constitution and to maintain its supremacy, as the embodiment of the will of the people and the basis, freely determined by them, for living together in a federal State and striving together so that we may prosper and obtain our rightful place amongst the nations of the world and make our full contribution towards international peace and the progress and happiness of humanity..
IN THIS ASSEMBLY, this is and seventy-one, corresponding to the ……..day of……………. One thousand nine-hundred day of……….. 1391 Α. Η. and the…………… day of 1377 B.S., WE DO HEREBY ADOPT, ENACT AND GIVE TO OURSELVES THIS CONSTITUTION.
PART I-THE FEDERAL REPUBLIC AND ITS TERRITORIES.
The Republic and its territories
1 (1) Pakistan shall be a Federal Republic under the name of Federal Republic of
Pakistan, and shall be composed of the autonomous States of Bangla Desh, Punjab, Sind, Pakhtunistan and Baluchistan, and such other territories as may become included in
Pakistan, whether by accession or otherwise.
(2) The territories of each of the States as are included in Pakistan are specified in the
First Schedule.
Alteration of territories of States.
2. No bill providing for altering the limits of a State or increasing or diminishing the area of any State shall be introduced in the Federal Parliament, unless it has earlier been approved by the Assembly of the State concerned by the votes of not less than two-thirds of the total members of that Assembly.
PART III- DIRECTIVE PRINCIPLES OF STATE POLICY
1. ISLAM
(1) No law shall be repugnant to the injunctions of Islam as laid down in the Holy Quoran and Sunnah.
(2) Facilities shall be provided for the teaching of the Holy Quoran and Islamiat to the Muslims of Pakistan.
(3) Observance of Islamic moral standards should be promoted amongst the Muslims of Pakistan.
II- RIGHTS OF MEMBERS OF OTHER RELIGIOUS DENOMINATIONS
Members of all other religious denominations shall enjoy full rights of citizenship and in addition to the constitutional protection of their fundamental rights, their legitimate rights and interest shall be duly safeguarded in all spheres.
IIL ESTABLISHMENT OF A SOCIALIST ECONOMIC SYSTEM WITH A VIEW TO ACHIEVING A SOCIETY FREE FROM EXPLOITATION.
With a view to achieving a just and egalitarian society, free from exploitation of man by man, and of region by region, a socialist economic system shall be established.
IV. STATES RESPONSIBILITY TO ENSURE BASIC NECESSITIES OF LIFE, EMPLOYMENT, IMPROVEMENT IN THE STANDARD OF LIVING, AND SOCIAL SECURITY.
It shall be a fundamental responsibility of the State to ensure, through planned economic growths development:
(i) the provision to all citizens of the basic necessities of life, including food, clothing, shelter, education and medical care;
(ii) the right to work, that is, the right to guaranteed employment at a reasonable wage, having regard to the quantity and quality of work;
(iii) the right to reasonable rest, recreation and leisure;
(iv) the steady and sustained improvement in the standard of living, material and cultural, of the people;
(v) the provision of social security, through, inter alia, the extensive development of compulsory social insurance of industrial, office and professional workers;
(vi) the right to maintenance in old age.
V. RIGHTS OF WORKERS AND PEASANTS
It shall be a fundamental responsibility of the State of safeguard and promote the rights and interests of workers and peasants.
VI. EMANCIPATION OF THE RURAL MASSES FROM EXPLOITATION AND IMPROVEMENT IN THEIR QUALITY OF LIFE.
The rural masses shall be emancipated from exploitation by, among other measures, the total abolition of the Jagirdari, Zamindari and Sardari systems and the re-orientation of the land system in the interests of the actual tillers of land…..
XVIII. ECONOMIC BENEFITS OF FEDERAL EXPENDITURE
Every effort shall be made to ensure that the economic benefits of federal expenditure shall be equitably distributed among all the States in the Federation.
XIX. REPRESENTATION IN FEDERAL GOVERNMENT.
Steps shall be taken immediately to ensure that all the States in the Federation are represented, on the basis of the population of each State, in all spheres of the Federal Government.
XX. REPRESENTATION IN THE DEFENCE SERVICES
Every effort shall be made to ensure that, within the shortest possible time persons from all the States are represented, on the basis of population of each State in all branches of the Defence Services of the Federation and extraordinary measures, if necessary, shall be adopted to implement this Principle.
XXI. REGIONAL SELF-SUFFICIENCY IN DEFENCE
Having regard to the extraordinary geo-political situation of Pakistan, each of its, two regions shall be made self-sufficient in man, materials, training and logistic facilities, in order to defend itself.
XXII. DEVELOPMENT OF LANGUAGES AND CULTURES
Immediate measures shall be taken to ensure that Bengali, Urdu and the languages in use in a State, where appropriate, shall replace English in all walks of life. Every effort shall be made to encourage the Development of the language, literature and culture of every area in Pakistan.
XXIII. PROTECTION OF ANCIENT MONUMENTS.
It shall be the obligation of the State to protect every monument or place or objects of artistic or historic interest, declared by law to be of historic significance from spoliation, disfigurement, destruction, or removal, dispose or export, as the case may be.
XXIV. PROMOTION OF INTERNATIONAL PEACE AND SECURITY
The State shall endeavour to
(a) promote international peace and security;
(b) maintain just and honourable relations between nations.
(c) foster respect for international law and treaty obligations in the dealings of organised peoples with one another; and
(d) encourage peaceful settlement of international disputes.
XXV. STRUGGLE AGAINST IMPERIALISM, COLONIALISM AND APARTHIED.
Pakistan shall support the struggle of the oppressed people of the world against imperialism, colonialism and apartheid.
নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ও পশ্চিম পাকিস্তানে পিপলস পার্টি জয়ী হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দৃশ্যমান। তাদের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচনের ফলাফলকে কীভাবে গ্রহণ করেছে তা জানা যায়।
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৭ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অসাধারণ সাফল্যের জন্য আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ও পিপলস পার্টিট প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টোকে অভিনন্দন জানান। দুই নেতার নিকট প্রেরিত একই ধরনের দুইটি অভিনন্দন বাণীতে প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনার দলের অসাধারণ সাফল্যের জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই।
নির্বাচনী ফলাফলে প্রকাশিত হয় যে, পাকিস্তানের জনগণের অতি বৃহৎ অংশ জাতীয় জীবনের এই ক্রান্তিলগ্নে আপনাদের দলের উপর আস্থা স্থাপন করেছে। আমাদের মাতৃভূমির ঐক্য ও সংহতি রক্ষা এবং জনগণের রাজনৈতিক আকাংখা পূরণ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমৃদ্ধি বিধানে সক্ষম একটি শাসনতন্ত্রের আশায় দেশবাসী এখন সাগ্রহে অপেক্ষা করিবে। আমি আশা ও প্রার্থনা করি, আপনাদের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের ওপর আরোপিত শাসনতন্ত্র প্রণয়নের গুরু দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে সমর্থ হবেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি এক বিবৃতিতে জানান যে, গত ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আমাদের ইতিহাসের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে যেসব প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। বিজয়ী প্রার্থীরা এখন তাদের রায়ের মাধ্যমেই বিনম্র আর মহানুভবতা প্রদর্শন করবেন বলেই আমার বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন, এ প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের জনগণ প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষ ভোটে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অবাধ সুযোগ পেয়েছে। উত্তেজনা ছিল অত্যন্ত প্রবল কিন্তু জাতি যে সুশৃঙ্খলার পরিচয় দিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় আর তাই তা সর্বমহলে প্রশংসাও লাভ করেছে। এতে জাতির রাজনৈতিক সচেতনতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মূল পরিকল্পনা সামরিক সরকারের রয়েছে। নির্বাচন হচ্ছে তার প্রথম পর্যায় মাত্র। দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন। এ জন্যই নবনির্বাচিত প্রার্থীদের আমি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, জনগণ তাদের ভোট দিয়ে তাদের ওপর বিরাট আস্থা স্থাপন করেছে। দেওয়া নেওয়া ও সহনশীলতার ভিত্তিতে এখনই তারা শাসনতন্ত্র প্রণয়নের কাজে লেগে যান। জাতি এখন তাদের কাছে এই চাচ্ছে। জাতি তাদের ওপর যে আস্থা স্থাপন করেছে তারা তা রক্ষা করবেন এ বিশ্বাস আমার আছে। তাদের প্রচেষ্টা সফল হোক এটাই আমার কামনা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুস সাত্তার বলেন, সার্বজনীন ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর পাকিস্তান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক লোক ভোটদানের ফলে ইহা প্রতিপন্ন হয়েছে যে, দেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্র নির্ধারণ এবং যে রাজনৈতিক অবস্থার অধীনে শাসিত হবে সে সম্পর্কে নিজেদের মনোভাব জ্ঞাপনের জন্য জনসাধারণ উদগ্রীব। তিনি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, জনসাধারণ যে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং কোনো শক্তিই যে তাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী অধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে নিবৃত্ত করতে পারবে না তা প্রমাণিত হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা লক্ষ্য করে বৈদেশিক পর্যবেক্ষকরাও বিস্মিত হয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল দৃষ্টে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, জনসাধারণ অবস্থার পরিবর্তন সাধনের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। এই নির্বাচনে এটিই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা আঞ্চলিকতা ও ব্যক্তিত্বের ভিত্তিতে ভোট প্রয়োগ করেনি। তারা নীতির ভিত্তিতে ভোট প্রয়োগ করেছে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর টেলিফোনে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনা করেন এবং পূর্ব পাকিস্তানে একচেটিয়া জয় লাভের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে অভিনন্দন জানান। পাকিস্তান পিপলস পার্টির করাচী জোনের চেয়ারম্যান আবদুল হাফেজ পীরজাদা বলেন, গণপরিষদে আওয়ামী লীগ ও পিপলস পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ নির্ধারিত ১২০ দিনের শাসনতন্ত্র রচনার পথ সহজ করে তুলেছে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির করাচী শাখার সভাপতি আবদুল হাফিজ পীরজাদা বলেছেন যে, গণপরিষদের পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ও পিপলস পার্টির প্রার্থীরা বিপুলভাবে নির্বাচিত হওয়ার নির্দিষ্ট ১২০ দিনের মধ্যে শাসনতন্ত্র রচনার সম্ভাবনা উজ্জল হয়ে উঠেছে। তাঁর মতে পিপলস পার্টির প্রার্থীরা জয়লাভ করায় শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করা সহজতর হয়েছে। তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিজয়কে জনগণের বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিক সম্মেলনে এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেন যে, আমাদের জনগণ এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেছে। তারা এক অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের এ রায় প্রদানের অধিকার অর্জন করেছে। আমাদের লক্ষ্য ৬-দফা এবং তা বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তিনি দেশবাসীকে এ আশ্বাস দেন যে, ৬-দফা ভিত্তিক পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের ব্যবস্থা সম্বলিত শাসনতন্ত্র প্রণীত হবে এবং ছয়দফাকে সামগ্রিকভাবে বাস্তবায়িত করা হবে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে বিজয়ী হওয়ায় পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান ভুট্টোকে অভিনন্দন জানান। তারযোগে প্রেরিত এক ফিরতি অভিনন্দন বার্তায় শেখ মুজিব তাঁর নিকট অভিনন্দন বাণী প্রেরণ করার জন্য ভুট্টোকে ধন্যবাদ জানান। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের মতো প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ধন্যবাদ জানান। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের মতো প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান আরেকবার ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের পরিচয় দান করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এই বিজয় আসলে বাংলাদেশের শোষিত জনগণের বিজয়।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নিজ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পাকিস্তান ন্যাশনাল লীগের প্রেসিডেন্ট আতাউর রহমান খান, কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ এস এম সোলায়মান, পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্র দলের সভাপতি মওলানা নুরুজ্জামান, কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রধান মিয়া মমতাজ মোহাম্মদ দৌলতানা, প্রাদেশিক মুসলিম লীগ প্রধান খাজা খয়েরউদ্দিন, মীর সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক যান, কাউন্সিল মুসলিম লীগের নেতা এয়ার মার্শাল (অব.) নূর খান, পাকিস্তান কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী। তারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ও পশ্চিম পাকিস্তানে পিপলস পার্টির চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান ও জুলফিকার আলী ভুট্টোকে অভিনন্দন জানান। তারা সকলে দেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্র থেকে শুরু করে সকল ধরনের কর্মকাণ্ডে উভয় দলকে সহযোগিতা করার কথা ব্যক্ত করেন।
কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা যায় পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামির আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম এর বিবৃতিতে। তাঁর মতে, নির্বাচনে পাকিস্তানের রাজনীতি যুক্তির চেয়ে ভাবাবেগ দ্বারাই বেশি পরিচালিত হয়েছে। এমনকি আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্তৃপক্ষ বিগত এক বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে স্বাধীন ভাবে কাজ করার যথাযথ নিশ্চয়তা দানে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর দলের অকুন্ঠ বিশ্বাস রয়েছে। গণতন্ত্রই দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব পরিবর্তনের একমাত্র মাধ্যম বলে তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন। এই বিবৃতি প্রদানের একদিন পর গোলাম আযম শেখ মুজিবকে অভিনন্দন জানিয়ে পূর্ণ সহযোগিতা দান ও গঠনমূলক বিরোধিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঢাকায় গোলাম আযমের সভাপতিত্বে প্রাদেশিক জামায়াতে ইসলামির দুইদিন ব্যাপী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নির্বাচনী ফলাফলকে মেনে নিতে অস্বীকার করা হয়। এই সভায় বলা হয়, নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের কার্যকরী পরিষদের জরুরী সভায় দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রাতাব গৃহিত হয়। জামায়াতে ইসলামির নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ওমরাও খান জাতীয় পরিষদে নির্বাচনে অনিয়মানুবর্তিতা ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। ভোট গ্রহণকারী কর্মচারীদের আচরণ ছিল সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং প্রশংসাযোগ্য।
ন্যাপ ভাসানী পন্থীরা যদিও নির্বাচনে অংশ নেয়নি তবু ন্যাপ প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিম পাকিস্তান ন্যাপের সাথে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপের সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন। তিনি আওয়ামী লীগের এ ঐতিহাসিক বিজয়কে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার প্রশ্নে জনসাধারণের গণভোটের রায় বলে মন্তব্য করেন। নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে ওয়ালী ন্যাপের সভাপতি যান আবদুল ওয়ালী খান বলেন যে, পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে, যে দু’টি রাজনৈতিক দল প্রধানত বিজয়ীর বেশে আবির্ভূত হয়েছে, সে দুটি দল হলো আওয়ামী লীগ ও পিপলস পার্টি। দুটিই মূলত আঞ্চলিক দল। কারণ পশ্চিম পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের বুনিয়াদ নেই, পূর্ব পাকিস্তানে পিপলস পার্টির অস্তিত্বই নেই। এই ঘটনা দুই রাজনৈতিক দলের পথে প্রধান প্রতিবন্ধক স্বরূপ। এক অর্থে এর গুরুত্ব তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দেশ রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পূর্ব পাকিস্তান ন্যাপ ওয়ালী পন্থী সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলতাফ হোসেন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন পূর্ববাংলার জনগণ গণতন্ত্র, স্বায়ত্তশাসন ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ সংগ্রাম করে আসছে। তা বাস্তবায়নে দৃঢ় সংকল্পই ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান নূরুল আমীন জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের পর তাঁর এক প্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের আস্থাশীল হিসেবে জনগণের রায়কে সম্মান করার কথা বলেন। নবাবজাদা নসরুল্লাহ খান অভিযোগ করেন, আবেগ উত্তেজনার পরিবেশে দেশে এ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) সরফরাজ খান জাতীয় পরিষদে নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য শেখ মুজিব ও ভুট্টোকে অভিনন্দন জানান। অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশিম সাধারণ নির্বাচনে বিরাট সাফল্য লাভের জন্য শেখ মুজিব ও ভুট্টোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ইসলাম কখনো বিপদাপন্ন হয়নি বা হবেও না। যারা নিজেদের ইসলাম পছন্দের দাবীদার বলে ঘোষণা করেছেন এবং ইসলামের অভিভাবক সেজে বসেছেন তারাই বিপদাপন্ন হয়েছেন। নির্বাচনে পাকিস্তানের জনসাধারণ যে উচ্চমানের রাজনৈতিক সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে তার জন্য অভিনন্দন জানান। খিলাফতে রব্বানী পার্টির চেয়ারম্যান এ এম এম মোফাখখার সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাফল্য অর্জনের জন্য শেখ মুজিবের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস উল্লেখ করেছেন- নির্বাচনের ফলাফল বিভিন্ন লোকের কাছে বিভিন্ন তাৎপর্য বহন করেছিল। আওয়ামী লীগের পতাকাতলে বাঙালীরা ছিল বিজয়োল্লাসে উল্লসিত। এই প্রথমবারের মতো তারা প্রকৃত ক্ষমতার আশায় উজ্জীবিত হয়েছিল। এর সঙ্গে অতীতের উপনিবেশিক শাসনপদ্ধতির অবসান ঘটানোর এবং দুই দশকের শোষণের প্রতিকার করার যোগ্যতা তারা অর্জন করেছিল। ভুট্টো কেবল পাঞ্জাবে এবং করাচীতে অপ্রত্যাশিত বিজয় লাভ করেও বিস্তৃত রাজনৈতিক ক্ষেত্র সম্পর্কে তার উল্লাসকে দমন করতে পারেননি। জামাতে ইসলামির মতো ধর্মভিত্তিক দলগুলো তাদের পরাজয়কে সহজভাবে স্বীকার করে নিতে পারেনি। সর্বোপরি জামাত প্রকাশ্যভাবে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে। জনগণ যেভাবে তাদের রায় দিয়েছে, সেকথা ভেবে সমগ্র দেশ চরম বিস্ময়বোধ করেছে। ….. নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে সরকার ছিল নিরপেক্ষ এবং সরকার নিজেকে কেবল পরিবর্তনশীল কর্তৃপক্ষ হিসেবে দাবী করেছিল যা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজে এবং যত শীঘ্র সম্ভব নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপার ছিল উৎসর্গীকৃত। (বাংলাদেশ লাঞ্ছিতা, পৃ. ৭২-৭৩)।
সূত্র
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যদয় – মোশারফ হোসেন।
নাহিদ তার রুমে আড্ডা দিচ্ছে।
আসিফ এসেছে খেলার মন্ত্রনালয়ে রুম থেকে। আন্দোলনের আরো দুই ফ্রেন্ডও এসেছে।
আগস্টের ২০, অনেকদিন পর মন খুলে হাসি, ঠাট্টা।
চা তো দিয়েছে, এক আধটু বিস্কিট বা সিঙ্গারা যদি থাকতো।
টিএসসির চা’র সাথে মামাও তো সমুচা বা সিঙ্গারা দিতো।
Transcripts:
0:01Spira do you think that President Yahya
0:04should now hand over power to you I find
0:08it difficult to answer this question
0:09here I must return to Pakistan before I
0:13speak on it of course I will speak on
0:14this matter and the place is Pakistan do
0:19you think the time has now come for you
0:20to lead the country well I’ve been
0:22elected by the people let’s find someone
0:24else from Mars and that’s a different
0:25matter but as far as the people of
0:29Pakistan are concerned they have elected
0:30me as their chosen an undisputed leader
0:32a year ago but outside Pakistan you have
0:36said that this government has made some
0:37mistakes
0:38certainly what sort of mistake well
0:42coming to the present the the delay
0:47inordinate inexplicable delay in the
0:49transfer of power that I think has been
0:52a fatal blunder the bar should have been
0:54transferred much earlier to whom to us
0:57to the elected people elections were
0:59held and the results of the elections
1:04should have been implemented so that we
1:05could have sought a political settlement
1:07if military action was necessary to
1:10crush the secessionist I do not say that
1:12that should not have been taken every
1:14country takes that kind of action but it
1:16must be coupled as soon as possible with
1:19familiar with political action well
1:21finally there must be a political
1:23settlement what sort of a state is
1:24Pakistan in are using in in in bad state
1:29but we will come out of it I am full of
1:32hope and confidence we have already won
1:35a political victory in the General
1:36Assembly by having the whole world
1:38supporting our position and we will
1:42salvage the wreckage I am quite
1:44confident to it how would you resolve
1:47Pakistan’s new position after the war
1:49now first things first we must bring
1:53about some reforms some fundamental
1:55reforms give the poor people of Pakistan
1:58a better stake in their own country do
2:00you still regard Pakistan as one country
2:02mr. Poojah of course it is one country
2:04is that realistic absolutely realistic
2:07what are reality temporary phenomena are
2:11not realities the reality that studied
2:13in his
2:14and historically the concept of Pakistan
2:16the ideal of Pakistan cannot perish like
2:18this still don’t recognize that the what
2:21happened in East Pakistan is a an
2:24expression of popular feeling that they
2:26really do want to be separate no they
2:28wanted maximum autonomy and the line
2:31between maximum autonomy and cessation
2:33can be a thin one or it could made to
2:36appear to be a thin one how would you
2:38react to any governments that recognized
2:40you Bangladesh government a hostile act
2:43well the British people are a great
2:44people we have great admiration for the
2:46British people but I’m afraid the role
2:49of the government has been most partisan
2:51and and unfair towards Pakistan if I may
2:55say so quite bluntly and this is a long
2:59story I think you haven’t defended
3:00India’s action at the end well the
3:03Indian Indians were receiving missiles
3:05and arms right through the wall British
3:07factories were working night and day to
3:09provide little india pitted against a
3:11big pakistan with arms and weather just
3:14fulfilling existing contract
3:16yes contracts are fulfilled but
3:18contracts are broken also and in the
3:21history of diplomacy I don’t know how
3:23many contracts you fulfilled and how
3:24many you have not fulfilled on many
3:25occasions and we are too cynical to
3:28really talk in terms of a legal
3:30obligation and I can give you instances
3:33where legal obligations have been broken
3:34by Britain with impunity and that’s a
3:38different story but I think Britain
3:40thinks that well we divided the
3:42subcontinent
3:43perhaps a mistake and you’re trying to
3:46atone for it by taking this position but
3:49unfortunately tea is a very good thing
3:52but tea interests and all have got
3:54involved and jute interests have got
3:57involved and commercial interests have
3:58got involved but I don’t want to say
4:01very much more because we are in
4:02Christmastime and I wish the British
4:03people a Merry Christmas
English (auto-generated)
নতুন সরকার শপথ নিচ্ছে আজ। জনাব মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দেশের নামী ও দামী বলে চিহ্নিত লোকের একটা তালিকা ধরে এসব পড়গ্রামের অতিথি ঠিক করা হয়। এবারো তাই হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা বেধেছে মন্ত্রীসভায় ২ তরুনের অংশ নিয়ে। এলিট ক্লাসের এরা না। হলের গনরুমে বা ডাব্লিং করা ছেলে নাহিদ আর আসিফ এবার শপথ নিতে যাচ্ছে। অভ্যুত্থানের নেতার কোটায়। অভ্যুত্থানের সরকার হতে নয়, তার শরিকানা নিয়ে।
সরাসরি রাজপথ থেকে তার বন্ধুরা এসেছে বঙ্গভবনের ভাবগম্ভীর দরবার হলে। বন্ধুদের মন্ত্রী হবার শপথ দেখতে।
মজা করে সেলফি নিচ্ছে।
পাকিস্তানে LFO আওতায় ১৯৭০ এর ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদের ও ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। LFO হোল Legal framework Order. প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ১৯৬৯ এর ২৬ মার্চ এই অর্ডারটি জারী করেন। এই নির্দেশনা পাকিস্তানের আইন প্রণয়নে গণপ্রতিনিধিত্বের বিভাজন ছিল এমন।
জাতীয় পরিষদের প্রদেশ ভিত্তিক আসন ভাগ করা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২ (+৭), পাঞ্জাবের ৮২ (+৩), সিন্ধের ২৭ (+১), বেলুচিস্তানের ৪ (+১), উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ১৮ (+১), কেন্দ্র শাসিত উপজাতি ৭ (+০)। সব মিলিয়ে ৩১৩ যার মাঝে রয়েছে নারী ১৩।
প্রাদেশিক পরিষদের আসন ভাগ করা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের ৩০০ (১০), পাঞ্জাবের ১৮০ (+৬), সিন্ধের ৬০ (+২), বেলুচিস্তানের ২০ (+১), উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের ৪০ (+২)। সব মিলিয়ে ৬২১ যার মাঝে রয়েছে নারী ২১।
নির্বাচনে ভোট গণনার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে বলা যায় জাতীয় পরিষদের ক্ষেত্রে শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় পূর্ব পাকিস্তানের (১৬০+৭) মোট ১৬৭ আসন এবং জুলফিকার আলি ভুট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তান পিপলস পার্টি পিপিপি বিজয়ী হয় পাঞ্জাবের ৬৪, সিন্ধে ১৮, উত্তর পশ্চিম সীমান্তে ১টি মিলিয়ে মোট ৮৩ আসন।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য সংরক্ষিত ১০টি মহিলা আসনে আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় পরিষদে ৭ জন নির্বাচিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত মহিলা আসন সহ ১৬৭টি আসন লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজয়ী হয়। বাকি দুইটি আসনের একটি পায় স্বতন্ত্র প্রার্থী পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজা ত্রিদিব রায় এবং পিডিপির নূরুল আমীন। স্বতন্ত্র সদস্য রাজা ত্রিদিব রায় পরবর্তীসময় আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে একটি আসনও পায় না।
৯৩ পশ্চিম পাকিস্তানে ৪টি প্রদেশের মধ্যে পাঞ্জাবে ৬৪টি, সিন্ধুতে ১৮টি ও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ১টি আসনসহ মোট ৮৩টি জাতীয় পরিষদের আসনে জয়ী হয়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টি দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ওয়ালী ন্যাপ উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে জাতীয় পরিষদের ১৮টি আসনের ৩টিতে এবং বেলুচিস্তানের ৪টি আসনের মধ্যে ৩টিতে জয় লাভ করে, পাঞ্জাব ও সিন্ধুতে জাতীয় পরিষদের কোনো আসনে জয়ী হয়নি।
১০ দিন পর অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসন লাভ করে।
পশ্চিম পাকিস্তানে নির্বাচনের ফলাফল দেখে বুঝা যায় কোনো দলই সেখানে ম্যান্ডেট পায়নি। পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে পিপলস পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে পরিচিতি পায়। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি পশ্চিম পাকিস্তানে ১৪৪টি আসনের মধ্যে ৮৮টি আসন লাভ করে। উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তান এই দুটি প্রদেশের প্রথমটিতে ১টি ও দ্বিতীয়টিতে কোনো আসনেই পিপলস পার্টি জয়ী হয়নি। পাকিস্তান ব্যাপী কেন্দ্রীয় দল ওয়ালী ন্যাপ একমাত্র বেলুচিস্তান প্রদেশেই সরকার গঠন করার মতো আসন পায়। যদিও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে তারা হাজারভী গ্রুপের সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে তারা ১টি মাত্র আসন লাভ করতে সমর্থ হলেও পাঞ্জাব ও সিন্ধুতে তারা কোনো আসন লাভ করতে পারেনি।, ডানপন্থী ধর্মীয় দলগুলো দুই অঞ্চলেই ব্যর্থ হলো।
ধারণা করা হয়, গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতেই পাকিস্তানের সামরিক সরকার এমন একটি নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সাহস করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, পাকিস্তানের দক্ষিণপন্থী দলগুলো যথা পিডিপি, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামি ও আসগর খানের গ্রুপ প্রমুখ নির্বাচনে ফল লাভ করবে।
নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ইয়াহিয়া খানের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য জি ডব্লিউ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন- ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর এবং যে কোনো মানদণ্ডেই তা ছিল অবাধ ও নিরপেক্ষ। ভাগ্যের পরিহাস এটাই ছিল অখণ্ড পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ প্রকৃত নির্বাচন। নানা মহলে ব্যক্ত অভিমতের বিপরীতে নির্বাচনী ফলাফল অন্ততঃ পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে শাসক মহল কিংবা সেখানকার রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের যে কোনো ঐকান্তিক পর্যবেক্ষকের কাছেই কোনো বিস্ময় উদেককারী ছিল না। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের নির্বাচনী ফলাফল বিস্ময়ের উৎপাদন করে বিশেষ করে সেখানে ডানপন্থী ও ধর্মীয় দলগুলোর সম্পূর্ণ পরাজয়ে এবং একজন অপাঞ্জাবী ভুট্টোর পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা হিসেবে আরো সঠিকভাবে বললে পাঞ্জাবের নেতা হিসেবে উত্থানে। (অখণ্ড পাকিস্তানের শেষ দিনগুলি, পৃ. ১২২)।
কালরাত থেকে মনে হচ্ছিল আজ ৫ আগস্ট দিনটা একটা বিশেষ দিন হবে। মার্চ টু ঢাকা প্রোগ্রামটা শাহবাগকে কেন্দ্র করে হবে তাই ঠিক করেছিলাম আমি নিজে শাহবাগ থাকবো।
আমার একটা সাদা রঙের ভেসপা আছে। ওটা নিলাম।
সকাল সাড়ে এগারোটায় বেরুলাম, বনানী হয়ে এয়ারপোর্ট রোড হয়ে শাহবাগ যাবো। কিন্তু বনানী পর্যন্ত এসে বৃষ্টির জন্য আর যেতে পারলাম না। বাসায় ফিরে টিভি খুলে দেখি ঢাকায় চরম কার্ফু। সব দিক দিয়ে ঢাকা যেন বন্ধ করে রেখেছে।
আমার মাথায় কাজ করছে আমি নিজ চোখে এই কার্ফু দেখবো শাহবাগে দাঁড়িয়েই।
সাড়ে বারোটায় আবার বেরুলাম, এবার হাতিরঝিল হয়ে এফডিসি বাংলামোটর ধরে যাবো। বেড়িয়ে দেখি রাস্তা একেবারেই শুন্য। দিনের বেলা কিন্তু গা ছমছম করার মতন নির্জন, কোথাও কোন শব্দ নাই। হাতিরঝিল বেঞ্চে যারা সারাক্ষণ শুয়ে বসে থাকে তারাও নেই। পুলিশ, ট্রাফিক বা ভিক্ষুক কেউ নেই, একমাত্র আমি চলছি। সোনারগাঁও হোটেলের মোড়ে এসে এদিক সেদিক দু একজনকে চলাচল করতে দেখেছি। বাংলামোটর পার হয়ে দেখলাম দুরে সাকুরার সামনে মিলিটারি হেলমেট। শাহবাগের দিকের রাস্তা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। একটু পিছনে অনেক পুলিশ। তার কাছাকাছি পরিবাগের গলির মাথায় দেখলাম বেশ কিছু লোক। বেশিভাগই ছাত্র ছাত্রী। সংখ্যায় খুব বেশী না, ফুটপাথে বসে আছে, দাঁড়িয়ে কথা বলছে। কোন উত্তেজনা নেই কোন কিছুর প্রস্তুতি নেই। আমি আমার বাইক একটু দূরে রেখে দিলাম। কিছু ছবি তুললাম। দুয়েকটা রিকশা এসে থামছিল। একটা থেকে তিনটা মেয়ে নামলো। একজন মাথায় হিজাব বাকি দুজন টিশার্ট। সবাই জিনস পড়েছে ও পায়ে কেডস। গতরাতে সমন্বয়কদের নির্দেশনার কথা মনে পড়লো, ওরা সবাইক কেডস পরে আসতে বলেছে আর সবার মোবাইল স্ক্রিণে নিজের নাম, ঠিকানা, ব্লাড গ্রুপ আর ইমারজেন্সি ফোন নাম্বার পিন করে রাখতে বলেছিল। এটাতো ভীষণ ভয় পাইয়ে দেবার কথা, প্রোগ্রামে নামার আগে কেও কখনো নিজ মৃত্যুঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দেয় নাকি? আমার কাছে এটাকে বেশ অভিনব মনে হয়েছিল। পরে শুনেছি অনেকেই মোবাইল স্ক্রিনে এগুলো লিখেই বেড়িয়েছিল।
সময় যত যাচ্ছিল সংখ্যাটা বাড়ছিল। এদিকে ইন্টারনেট অনেক আগ থেকেই নেই। একসময় একজন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে ফিস ফিস করে বলল পিছনের দিকে একটা গেইট আছে, খুব ইজি। দেখলাম ত্রিশের কাছাকাছি এক লোক। আমি অবাক যে হয়েছি এটা না বুঝিয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই জিজ্ঞেস করলাম কোন দিকের পিছনটা? উনি বললেন লাকের পাশ ঘিড়ে, সব রেকি করে আসছি। মাত্র দুইটা আর্মি গার্ড দিতেছে। আমি বুঝলাম উনি গণভবনের কথা বলছেন। আমি বললাম আপনি ডেইলি বের হোন? উনি বললেন প্রতিদিন প্রোগ্রামে থাকেন। একটা সাইকেল আছে। উত্তরা থাকেন। জিজ্ঞেস করলাম ওখানে কি দেখলেন? বললেন ওইখানে দশ পনেরো হাজার। আসতেছে। এটা কতটুকু ঠিক জানার জন্য এক ডাক্তার বন্ধুকে ফোন করলাম। বলল টোটালি ট্রেস, আজ কার্ফু কঠিন শক্ত থাকবে। কোথাও বেরুবে না। আমার সামনেই এক রিকশাচালককে জিজ্ঞেস করলাম কিছু জানে কিনা। বলল ২০ হাজারের কম না। নিজে দেখছি, আইতেছে। (চলবে)
কিভাবে ডিক্টেটর হওয়া যায়?
এটা নিয়ে সফল আর অসফল মিলিয়ে বেশ কজন সরকার প্রধানের আইডিয়াকে মডেল হিসাবে ধরা যায়। জার্মানির হিটলার, সোভিয়েতের স্টালিন, ইটালির মুসোলীনি, কোরিয়ার কিম জং, রুমেনিয়ার চসেস্কু, ফিলিপাইনের মার্কোস, তুর্কমেনিস্তানের নিয়াজভ এসব।
এর মাঝে শেখ হাসিনা তার অবস্থান তৈরী করেছেন বেশ কিছু ব্যতিক্রম সহ।
শেখ হাসিনা কি কি কিভাবে কখন করলেন তার একটা তালিকা করা যাক।
- আদর্শগত ভিত্তি
৭১ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা - আইকন ফিগার
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, দেশের ইতিহাসের প্রতি পর্যায়ের প্রধান ফিগার। - শক্ত পারিবারিক রাজনীতির বলয়
বঙ্গবন্ধু পরিবারের নতুন দুই সদস্য শেখ তন্ময় ও শেখ জুয়েল প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছেন। দশম জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাত সদস্য ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের ৯ সদস্যই প্রতিনিধিত্ব করছেন। নৌকা প্রতীকেই বঙ্গবন্ধু পরিবারের আটজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ হেলাল উদ্দিন, নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, শেখ সারহান নাসের তন্ময় ও শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল। এছাড়াও ফরিদপুর-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী।
এর মধ্যে শেখ সারহান নাসের তন্ময় শেখ হেলাল উদ্দিনের ছেলে। আর শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল হলেন শেখ হেলাল উদ্দিনের ভাই।
প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল হক সেলিম ও তার ভাই শেখ মারুফ। প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই এমপি শেখ হেলাল,তার দুই এমপি ছেলে, শেখ তন্ময় ও শেখ জুয়েল।এছাড়াও রয়েছেন, শেখ হাসিনার ভাতিজা এমপি ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসও শেখ ফজলে শামস। আত্মিয়দের মধ্যে রয়েছেন, ফুফাতো ভাই আবুল হাসনাত আব্দুল্লা তার ছেলে বরিশালের মেয়র সাদিক আব্দুল্লা। এছাড়াও রয়েছে, শেখ সেলিমের বোনের স্বামী যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। আবুল হাসনাত আব্দুল্লার বোনকে বিয়ে করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রশিদুল আলম তিনি মাহবুব আলম হানিফের ভাই। এর বাইরে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ নূর এ আলম চৌধুরী ও এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী(নিক্সন)। এর বাইরে শেখ হেলালের কন্যার জমাতা বিএনপি নেতা আন্দালিব রহমান পার্থও রয়েছেন আত্মীয়ের তালিকায়।
- গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও সংবিধান
- সামরিক বাহিনী
- বিচার ব্যাবস্থা
- বেসামরিক প্রশাসন
- পুলিশ
- আঞ্চলিক সরকার ও রাজনীতি
- সমিতি, কমিটি
কোন শব্দটা পারফেক্ট হয়?
ডিক্টেটর
noun: dictator
person who behaves in an autocratic way.”for some reason he’s being a dictator—saying this is the way we’re going to do it”
টাইরান্ট
noun: tyrant
a ruler who exercises absolute power oppressively or brutally.
অটোক্র্যাট
noun: autocratic
taking no account of other people’s wishes or opinions; domineering.
অথরেটারিয়ান
adjective: authoritarian
favouring or enforcing strict obedience to authority at the expense of personal freedom.”the transition from an authoritarian to a democratic regime”
আমার সোনার পাখিটারে গাইতে দিও
দুই বেলা দুমুঠো ভাত খাইতে দিও…
মাথায় রাখি নাই যেন উকুনে খায়
মাটিতে রাখি নাই যদি পিপড়াতে খায়……
কান্না ভেজা বিষাদময় পরিবেশে রাস্তায় বসে গাওয়া গান।
0;00 how did it across my border I went to
0:02the india-pakistan border rangoon that
0:06were bangor the border is not a defined
0:13line it’s a mass of trees and bushes and
0:17and they were in water fair and these
0:21people who saw but not refugees from
0:25East Pakistan I can arrange a lot of
0:28influx of refugees into Pakistan if you
0:31like to come with me to East Pakistan I
0:32will show you how they are coming from
0:33India but they are not to come in and
0:35nor are my refugees going back with them
0:36you’re saying the people I saw coming
0:38with their kitchens and their houses on
0:40their heads and all their belongings
0:42with them were not refugees from
0:43Pakistan no my impression is President
0:48that and it seems we bonded shared by
0:49many other observers who visited the
0:51captain India but the Bengal is are
0:53leaving because they are they feel
0:55insecure because they feel that there is
0:57a persecution against them by the army
0:59which will continue now is it it is it
1:01in your thinking that they should be
1:02persecution against these people
1:07I think any government which would like
1:10to persecute their own people
1:14is nothing but exaggerated lies army has
1:19persecuted nobody army has tried to save
1:2370 million people of his Pakistan
1:26against armed rebels of his Pakistan who
1:30were excited and incited by new theory
1:33and philosophy of our league for
1:36secession the vast majority of Pakistan
1:40in East Pakistan have caved a sigh of
1:46relief that this trend and this movement
1:50and this agitation has stopped the color
1:52of our nation so you’re saying to your
1:54knowledge there has never been and there
1:56is is not Lucknow a selective policy of
1:59genocide of any kind in East Pakistan
2:00will certainly not the most common
2:03criticism against you abroad is that you
2:05are out of touch that you don’t know
2:07what’s going on in East Pakistan what is
2:09your comment on that huh well if a head
2:12of a state is out of touch with any part
2:14of his country I don’t think he has and
2:17it done right Romania that home state
2:18I’m a soldier basically and you know I’m
2:21not a politician
2:22I don’t want to stick to this job the
2:23moment I find our touch out of touch
2:26with my people I shall quit I’m not
2:28thought of touching people I know is
2:30Pakistan like the palm of my hand I’ve
2:32served there in many capacities I know
2:36is Pakistan more than least Pakistan is
2:38no themselves because they have got the
2:41facilities move around like I have so
2:44answer to your question is that I’m not
2:47out of touch I know exactly what’s
2:49happening and what’s more I have visited
2:52East Pakistan I will continue visiting
2:54is Pakistan and
2:56how come when you say out of touch I
3:00happen to be a head of a state
3:02consisting of 120 million people but I
3:07don’t claim that I I have gone and
3:09talked to every one of those hundred
3:11million people but the personal contact
3:16with individuals is not the only means
3:18of a head of state knowing what’s
3:19happening in this country just no doubt
3:21in your mind that all that’s going on
3:22there you know absolutely I am
3:33saw on my own TV two nights ago
3:38not a blood flowing in the streets of
3:40Aden
3:41I saw the Armed Forces playing for these
3:47civilians and I saw the civilians going
3:50for down forces made me wonder whether I
3:55was watching a scene in Pakistan or
3:57somebody else I was a short that was an
3:59Arlen
4:00so what do you people talk about army
4:04genocide an army repression the basic
4:09factor is that no government what’s his
4:11name will allow Allah sness no
4:15government versus name will allow this
4:18kind of
4:21brutal activities against their own
4:23people
শীত শুরু হবার আগে আগে ৯/১০ দিন থাকার জন্য ভাবলাম বসনিয়া – হেরজেগোভিনা যাই। কোন কাজ না, শুধুই বেড়াতে। নভেম্বের আর ডিসেম্বর নিয়ে এই সময়টাতে টুরিস্ট তেমন থাকে না। শূন্যের কাছাকাছি তাপমাত্রায় পাঁচটা বাজতে না বাজতেই ঝুপ কোরে সন্ধ্যা নেমে আসে। আমাদের প্লেন যখন সারায়েভো নামলো তখন মাত্র আটটা, কিন্তু দেখে মনে হয় মাঝ রাত। যে দেশেই যাই আমি খুব পছন্দ করি ল্যান্ডিঙটা দুপুরের আগে নিতে। এবার হোলনা। শান্ত এয়ারপোর্ট, ট্যাক্সির দাপাদাপি নেই, চুপচাপ লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে।। ১৫/২০ মিনিটের ড্রাইভেই হোটেলে পৌঁছে গেলাম। শহরের মাঝে আমাদের হোটেল, রাস্তায় অনেক গাড়ি। তবে খুব সুশৃঙ্খল আর পরিষ্কার। বড় দম নিয়ে নিঃশ্বাস নিলে নিমিষেই বুক ভরে যায়। হোটেলের রিসেপশানে মেয়েটা বলল ওরা সবাই টেপের পানি খায়। অভয় পেয়ে আমরা দুজন এ কদিন টেপের পানি খেয়েছি। খুব সুস্বাদু পানি।
প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে ধোঁয়া উঠা গরম কফি নিয়ে সিটিং রুমে বসে ঢাকার সাথে একঘণ্টা মিটিং করতাম। হোটেলের বুফে ব্রেকফাস্ট সেরে প্রতিদিনই কোন না কোন শহরে গেছি। ল্যান্ডস্কেপ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বসনিয়া হেরজেগভিনা তুলনাহীন। মাটি নদী আর পাহাড় – পুরোটাই খাঁটি, মনে হয় এখনো অনেকের স্পর্শ পড়েনি। গাড়ি চালাতে কি যে আনন্দ। তিনদিনের দিন ভিসেগ্রাদ নামে একটা শহরে গিয়েছিলাম। দুই ঘণ্টা দূরের শহর কিন্তু আমার প্রায় চার ঘণ্টা লেগেছিল। গাড়ি চালাতে চালাতে হয়তো পাহাড়ের অনেক উপর থেকে নিচে ছোট শহর দেখে ওখানে নেমে এসেছি। ছবির মতন সাজানো এক রাস্তার ছোট্ট শহরের কফিশপে বসে অযথা সময় কাটিয়ে আবার চলতে শুরু করেছি।
ভিসেগ্রাদ শহরটা সার্বিয়ার সাথেই। একদিকে টলটলে পানির দ্রিনা নদী আর অন্যদিকে খাড়া উঠে যাওয়া কঠিন পাথরের উঁচু পাহাড়, মাঝ দিয়ে যাওয়া মসৃণ রাস্তা ধরে শহরে এসে পৌঁছেছি বিকাল সাড়ে তিনটায়। খুব বড় শহর না, শান্ত। খুব সাজানো না, কিন্তু খুবই অরিজিনাল, নিজের মতন কোরে বেড়ে উঠা একটা শহর।
এখানে অটোমানদের বানানো একটা ব্রিজ আছে, খুব বিখ্যাত, ওটাও দেখতে গিয়েছিলাম। ১৬৭০ এর দিকে বানানো ব্রিজটার নাম মেহমেত পাশা ব্রিজ।এটাকে কেন্দ্র করে বিখ্যাত বই দ্যা ব্রিজ অন দ্যা দ্রিনা লিখা হয়েছিল । ১৯৪৫ এ লেখা বইটার জন্য বসনিয়ান লেখক ইভো আন্দ্রিস নোবেল পেয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে পুরস্কার দেয়ার সময় পেশায় ডিপ্লোমেট লেখক ইভো আন্দ্রিস যুগোস্লাভিয়ার লেখক হিসাবে পরিচিত ছিলেন, কারণ বসনিয়া তখন যুগোস্লাভিয়ার অংশ। বইটার ইংরেজি সংস্করণ সারায়েভো ফিরে কিনে নিয়েছি।
খুব ইচ্ছা ছিল ভিসেগ্রাদে আরও সময় থাকতে, সন্ধ্যার আগেই হোটেলে ফেরা দরকার বলে বেশী একটা দেরী করলাম না। সারায়েভো ফেরার জন্য সারে চারটায় রওনা দিয়ে দিলাম। দিনের আলোয় যত সহজে এসেছি ফেরাটা যে খুব সোজা হবে না তা আঁচ করতে পারছিলাম। আবার সেই দ্রিনা নদী পাশে রেখে ফিরছি, তবে এবার সূর্য ডুবে যাবার ছবি সামনে। অসাধারণ।
গাড়ী চালাতে চালাতে কখন অন্ধকার হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি, ওদিকে কয়েক ঘণ্টার পথ এখনো সামনে। সমতল রাস্তা যখন শেষ হয়ে গেল তখন আবার পাহাড়ে উঠছি আবার নামছি। একসময় স্নো শুরু হয়ে গেলো, মনেহয় পাহাড়ের অনেক উঁচুতে উঠে এসেছি তাই খুব ঠাণ্ডার সাথে স্নো পড়ছিলো। রাস্তায় কোন আলো নাই। রাস্তা মোটেই প্রশস্ত না, দুটোর বেশী গাড়ী চলতে পারে না। ওভারটেকিংতো একেবারেই অসম্ভব। মাঝে মাঝে আচমকা বাঁক অথচ আমি ৫/৬ ফুটের দুরের কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। সামনে একটা আউডি গাড়ীকে ফলো কোরে চলছিলাম, এর বাইরে কোন কিছু বোঝার কোন উপায় ছিল না। সামনের গাড়ীটাও খুব সাবধানে ধীরে ধীরে চলছিলো বলে আমার জন্য সুবিধা হচ্ছিল। হঠাৎ যা আশংকা করছিলাম তাই হোল – সামনের গাড়ীটা অন্ধকারে যেন মিশে গিয়ে আমার সামনে থেকে হারিয়ে গেল। তখন প্রবল বাতাস শুরু হয়ে গেছে, সাথে স্নো আমার উইন্ডস্ক্রিন ঢেকে দিচ্ছিল। কিছুক্ষণের মাঝে আমার ভিতরটা যেন একেবারে শূন্য হয়ে গেল। আমার সামনে কেও নাই, একটা বাঁকে এসে মিরর দিয়ে দেখলাম পিছনে লম্বা গাড়ির বহর। সবাই আমার পিছনে আর সামনে ঘুটঘুটে অন্ধকার। পরিষ্কার বুঝতে পারছিলাম দুই পাশে কয়েক হাজার ফুটের খাঁদ। আমি আমার স্পীড ২০/২৫ এ নামিয়ে আনলাম এই আশায় যদি কেও ওভারটেক কোরে আমার সামনে আসতো। দেখলাম পিছনে প্রায় ৩০ টার মতন গাড়ী, বোঝা যাচ্ছে সবাই লোকাল, কেও এলো না, সবাই স্পিড কমিয়ে আমাকে সামনে রেখে চলছে। আমার ভোক্সওয়াগন পাসাত ৭ সিরিজের বিশাল দেহী গাড়িটি ঘোঘো কোরে পাহাড় বেয়ে উপড়ে উঠছে, উঠছে তো উঠছেই। বাইরে স্নো আর ভিতরে আমাদের দুজনের ঘন নিঃশ্বাসে উইন্ডস্ক্রিন ঘোলা হয়ে উঠছিল। আমি শক্ত হাতে স্টেয়ারিংএ শরীর ঘেঁষে জেদ ধরে গাড়ি চালাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম পারতেই হবে। জীবন ও মৃত্যু নিয়ে কি রোমাঞ্চের খেলা। কতক্ষণ পরে জানিনা, অনেক হাজার ফুট উঁচু, আঁকাবাঁকা নিচু এমন কয়েকটা পাহাড় পেরিয়ে কখন হঠাৎ শহরের আলো ঝলমলে সমতল চওড়া রাস্তা ধরে ফেললাম খেয়াল নাই।
গাড়ি থামিয়ে দিশা ঠিক করে আনার জন্য কিছুক্ষণ শান্ত হয়ে বসে রইলাম। আমাদের বহরের পিছনের গাড়িগুলো পাড় হচ্ছিল আর আমাদেরকে থাম্বস আপ দিচ্ছিল, কেও হাত নাড়ছিল, হর্ন দিচ্ছিল।
তারা জানলোনা তাদের সামনে ছিল দুদিন আগে জীবনের প্রথম বেড়াতে আসা সাধারণ এক বাংলাদেশী। যে অভিযাত্রী না কিছুই না।
১৭ নভেম্বর ২০২৩
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা।
Paragraph 1 My Translation
Ek bagal mein chand hoga, ek bagal mein rotiyan Moon on a side and food on other,
Ek bagal mein neend hogi, ek bagal mein loriyan Sleep on a side and lullaby on other,
Hum chand pe, Roti ki chadar daal kar so jayenge I will sleep on moon with mattress of food,
Aur neend se, Keh denge lori kal sunane aayenge And tell the sleep, lullaby tomorrow.
First paragraph is son’s word. He is showing options. Firstly moon Vs food, means ambition (moon) Vs current need (food). Secondly Sleep Vs lullaby, means comfort of future (sleep) Vs Hard work i.e. Means to attain it (Lullaby).
The son selects his options too, but negatively. He wants to sleep on moon with mattress of food. Meaning that forgetting the ambition, he wants to enjoy current need. He want to tell the sleep that lullaby tomorrow, means tell the comfort of future that hard-work tomorrow.
He sounds frustrated.
Paragraph 2 My Translation
Ek bagal mein khan-khanati seepiyan ho jayengi, Ruby on a side,
Ek bagal mein kuchh rulati sisikiyan ho jayengi, tears on other side,
Hum seepiyon mein, bhar ke saare taare chun ke aayenge, A lot of rubies we will gather,
Aur siskiyon ko, Gudgudi kar kar ke yun behlayenge, and tickle the pain, to laugh out the tear
Second paragraph is mothers reply. She is teaching her child, giving him hope.
She too is showing options. Ruby Vs Tears, means prosperity (Ruby) Vs Current pain during hard work (Tears). She too is selecting options, but positively. She wants to attain prosperity. Obviously hard-work comes between current tears and future prosperity. She is teaching to enjoy during the times of tears.
“Aur siskiyo ko gudgudi kar-karke yun behlaayege”, She is outstandingly telling to tickle the tear to make it laugh, meaning try to enjoy even at the time of tears. Don’t worry for current problem, suppress the tear and think about the bright future.
Paragraph 3 My Translation
Amma teri siskiyon pe koi rone aayega Mom, someone will come to cry with our tear
Gam na kar jo aayega woh phir kabhi na jayega Don’t worry, who comes won’t leave us ever
Yaad rakh par koi anhoni nahi tu layegi Make sure, you avoid any decision of disaster,
Layegi to phir kahani aur kuchh ho jayegi Otherwise, that can again be the game changer
The first word of this verse “mom” made me think most that this all poem is talk between mother and son.
Here, the son is gaining strength. He too is showing bright future. He hopes, good days will come and never goes away. But he is afraid too: something bad may happen, good days may come never. He wishes his mom to avoid any bad decisions and makes sure it won’t happen, good times do comes. Otherwise, things may stay as it is, he warns.
Paragraph 4 (Last) My Translation
Honi aur anhoni ki parwah kise hai meri jaan Either good happens or bad, who is worried?
Hadd se jyaada yeh hi hoga ki yahin mar jayenge Even the worst happening, that we are killed,
Hum maut ko, Sapna bata kar uth khade honge yahin We will move on even if worst outcome is paved
Aur honi ko, Thenga dikha kar khil-khilte jayenge Will laugh out louder and tease the mis-happenings made
Mom summarizes with further strength. She suggests not to worry what happens, even if it’s worst possible outcome. Even if the worst thing happens, we can ignore it and move on. We will be laughing out and tease the worst outcome as well. We will make sure that we are not worried at all even with worst thing that made to happen with us.
The last line, “Honi ko thenga dikhakar khilkhilate jayenge”: “we will move on laughing, teasing the mis-happenings to us” is the sentence with most strong meaning. I don’t think any better closing was possible.
I feel, this poem by Piyush Chawla is an outstanding piece of creation.
They say, poetry is like water, you can make it take the shape of your container or flow as per your wish. It’s ok to tell that I interpreted like this because I wanted to. Actually this is what poetry is.
The ‘Precedent medal of freedom’ winner, Pablo Casals, wrote that, “The art of interpretation is not to play what is written.” So this is my interpretation. You are free to disagree or focus differently.
(Author of this post: http://anubhuti7.blogspot.com/2017/05/an-interpretation.html)
Freedom House rates people’s access to political rights and civil liberties in 210 countries and territories through its annual Freedom in the World report.
Individual freedoms—ranging from the right to vote to freedom of expression and equality before the law—can be affected by state or nonstate actors. Click on a country name below to access the full country narrative report.
April 2022 data.
Period | All India | West Bengal | Bangladesh | NE India | |
All Brands NB Units | Qtr | 2,400,000 | 75,000 | 60,000 | 18,000 |
HP NB Units | Qtr | 600,000 | 21,000 | 15,000 | 9,000 |
HP ASP BDT | 45,000 | 65,000 |
Albania, Canada, Iceland, Norway, Turkey AND United States are all in NATO, but not in the EU.
Six EU member states, all who have declared their non-alignment with military alliances, are not NATO members: Austria, Cyprus, Finland, Ireland, Malta, and Sweden. Additionally, Switzerland, which is surrounded by the EU, has also maintained their neutrality by remaining a non-EU-member.
EU Countries List
Following is the complete list of EU countries and their accession date into the block:
Austria | January 1, 1995 |
Belgium | March 25, 1957 |
Bulgaria | January 1, 2007 |
Croatia | July 1, 2013 |
Cyprus | May 1, 2004 |
Czech Republic | May 1, 2004 |
Denmark | January 1, 1973 |
Estonia | May 1, 2004 |
Finland | January 1, 1995 |
France | March 25, 1957 |
Germany | March 25, 1957 |
Greece | January 1, 1981 |
Hungary | May 1, 2004 |
Ireland | January 1, 1973 |
Italy | March 25, 1957 |
Latvia | May 1, 2004 |
Lithuania | May 1, 2004 |
Luxembourg | March 25, 1957 |
Malta | May 1, 2004 |
Netherlands | March 25, 1957 |
Poland | May 1, 2004 |
Portugal | January 1, 1986 |
Romania | January 1, 2007 |
Slovakia | May 1, 2004 |
Slovenia | May 1, 2004 |
Spain | January 1, 1986 |
Sweden | January 1, 1995 |
Countries In the Process of Joining the EU
The following countries are still under negotiations to join the EU in the future:
- Albania
- North Macedonia
- Montenegro
- Serbia
- Turkey
NATO members:
Country | Joined | Country | Joined | |
---|---|---|---|---|
Albania | 2009 | Lithuania | 2004 | |
Belgium | 1949* | Luxembourg | 1949* | |
Bulgaria | 2004 | Montenegro | 2017 | |
Canada | 1949* | Netherlands | 1949* | |
Croatia | 2009 | North Macedonia | 2020 | |
Czech Republic | 1999 | Norway | 1949* | |
Denmark | 1949* | Poland | 1999 | |
Estonia | 2004 | Portugal | 1949* | |
France | 1949* | Romania | 2004 | |
Germany | 1955 | Slovakia | 2004 | |
Greece | 1952 | Slovenia | 2004 | |
Hungary | 1999 | Spain | 1982 | |
Iceland | 1949* | Turkey | 1952 | |
Italy | 1949* | United Kingdom | 1949* | |
Latvia | 2004 | United States | 1949* |
Follow Me