জায়েদ ভাইয়ের বাসায় শাজাহানের গান শুনেছিলাম।সালটা ২০১৭ হবে, তখন জায়েদ ভাই থাকতেন উত্তরায়। তার এক সপ্তাহ পরে আমার অফিসে এসেছিলেন। …
Ahmed Hasan Articles.
One of 100 reasons to love Satyajit Ray. The extraordinary use of Varanasi as both setting and state of mind …
১৯২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারী করা হয়।
ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষ সবার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ অবারিত রাখা হয়েছিল।
১৯২১ সালের ১লা জুলাই যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে, সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিলেন ৮৪৭ জন, যাদের মধ্যে একমাত্র ছাত্রী ছিলেন লীলা নাগ।
শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজের এলিট পরিবারের বা ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত পরিবারের মেয়েরা পড়তে আসতেন।
মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল পরিবারের মেয়েরা পড়তে আসতেন না।
শুধু মুসলমান পরিবারই নয়, অনেক হিন্দু শিক্ষিত পরিবারের মেয়েরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতেন না।
১৯২৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী ফজিলতুন নেসা গণিত বিভাগে এমএসসিতে ভর্তি হন।
১৯২৭ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান দখল করে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ফিরে এসে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন।
১৯২১ সালে মাত্র একজন নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল যে বিদ্যাপীঠে,
১৯২৭ সালে সেখানে ছাত্রী ছিলেন নয়জন।
ছাত্রী সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।
১৯৩৪-৩৫ সালে ছাত্রী ছিলেন ৩৯ জন।
১৯৪৫-৪৬ সালে ৯০ জন ছাত্রী ভর্তি হন।
১৯৬৭-৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১,৩৩৬ জন।
২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৩ হাজার ৩৯৬জন। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ১৩ হাজার ১৯৫ জন।
মোট ১৯৯২জন শিক্ষকের মধ্যে এখন নারী শিক্ষকের সংখ্যা ৬৬৮জন।
১৯২১ সালে কলা ও বিজ্ঞান অনুষদ, এবং আইন বিভাগ নিয়ে শুরু হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ছিলেন ৬০ জন।
যাদের মধ্যে নারী শিক্ষক ছিলেন না একজনও। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন পদেও সে সময় নারী কর্মী ছিলেন না।
______________
২৭ জুন ২০২১
সাইয়েদা আক্তার
বিবিসি বাংলা, ঢাকা
https://www.bbc.com/bengali/news-57602325
ভারতবর্ষে উচ্চশিক্ষার শুরু ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর। ১৮৫৭ সালে ভারতের বড় লাট লর্ড ক্যানিং ‘দ্য অ্যাক্ট অফ ইনকরপোরেশন’ পাশ করে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল কোলকাতা, বোম্বে এবং মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে থেকেই ভারতবর্ষে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা ছিল কিন্তু এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয় ইউরোপিয় মডেলে।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ছিল উঁচু। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছিলেন মূলত পশ্চিম বঙ্গের উঁচুতলার হিন্দু সন্তানরা।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের আগে অবিভক্ত বাংলায় ১৯টি কলেজ ছিল। তার মধ্যে পূর্ব বাংলায় নয়টি। তবে সেটাই পর্যাপ্ত ছিল বলে মনে করেননি তখনকার পূর্ব বাংলার মানুষ।
কেন পূর্ববঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন ছিল:
১৯০৫ সালে বাংলা প্রেসিডেন্সি ভাগ করে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নামে নতুন এক প্রদেশ করা হয়। যার প্রচলিত নাম বঙ্গভঙ্গ।
পূর্ববঙ্গে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে আসা ছিল এই উদ্যোগের একটি অংশ।
বঙ্গভঙ্গের এই সময়টা ছিল খুব অল্প সময়ের জন্য, মাত্র ছয় বছর। কারণ এর মধ্যেই পশ্চিম বঙ্গের হিন্দু নেতারা প্রবল আন্দোলন করেন এই বঙ্গভঙ্গের।
এদিকে মুসলমান নেতারা নতুন প্রদেশ হওয়াতে শিক্ষাসহ নানা সুবিধা পাবেন এই আশায় উজ্জীবিত হন।
কিন্তু গোটা ভারতবর্ষে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং তাদের বিরোধিতার মুখে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়।
ফলে মুসলমানদের ক্ষোভ আরো পুঞ্জিভূত হতে থাকে। তারা মনে করে অর্থনৈতিক বৈষম্যের সাথে সাথে শিক্ষা ক্ষেত্রেও তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
লেখক এবং গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ তাঁর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা’ বই এ লিখেছেন “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর বাঙালী মুসলমানদের ক্ষোভ ছিল ১৯০৫- এ পূর্ব বাংলা এবং আসাম প্রদেশ গঠনের অনেক আগে থেকেই। … ক্ষোভের কারণ শুধু হিন্দু প্রাধান্য নয়, শিক্ষাক্রমে হিন্দুধর্ম প্রাধান্য পাওয়ায় মুসলমানদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়”।
যারা বিরোধিতা করেছিলেন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বিরোধী হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় আর রাজনীতিক সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর নাম সৈয়দ আবুল মকসুদের ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা’ বইতে উঠে এসেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোকজনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন বলে উল্লেখ করা হয়।
ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৯১২ সালে তাঁর ঢাকা সফর শেষে কলকাতা প্রত্যাবর্তন করলে ১৯১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ড. রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল তার সাথে সাক্ষাৎ এবং ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতামূলক একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।
এসংক্রান্ত বিভিন্ন বইতে উঠে এসেছে, লর্ড হার্ডিঞ্জ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কী মূল্যে অর্থাৎ কিসের বিনিময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা থেকে বিরত থাকবেন?
শেষ পর্যন্ত স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চারটি নতুন অধ্যাপক পদ সৃষ্টির বিনিময়ে তার বিরোধিতার অবসান করেছিলেন। পরবর্তীতে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষক নিয়োগে সহযোগিতা করেন।
তার সঙ্গে ছিলেন স্যার নীলরতন সরকার।
কেন এই বিরোধিতা?:
কথা সাহিত্যিক এবং প্রাবন্ধিক কুলদা রায় তাঁর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা ও রবীন্দ্রনাথ’ নামক প্রবন্ধে লিখেছেন মূলত-বিরোধিতা করেছিলেন তিন ধরনের লোকজন-
এক. পশ্চিমবঙ্গের কিছু মুসলমান-তারা মনে করেছিলেন, ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কোনো লাভ নেই। পূর্ববঙ্গের মুসলমানদেরই লাভ হবে। তাদের জন্য ঢাকায় নয় পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াটাই লাভজনক।
দুই. পূর্ব বাংলার কিছু মুসলমান-তারা মনে করেছিলেন, পূর্ব বঙ্গের মুসলমানদের মধ্যে ১০০০০ জনের মধ্যে ১ জন মাত্র স্কুল পর্যায়ে পাশ করতে পারে। কলেজ পর্যায়ে তাদের ছাত্র সংখ্যা খুবই কম। বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেখানে মুসলমান ছাত্রদের সংখ্যা খুবই কম হবে।
পূর্ববঙ্গে প্রাইমারী এবং হাইস্কুল হলে সেখানে পড়াশুনা করে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়বে। আগে সেটা দরকার। এবং যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে মুসলমানদের জন্য যে সরকারী বাজেট বরাদ্দ আছে তা বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যয় হয়ে যাবে। নতুন করে প্রাইমারী বা হাইস্কুল হবে না। যেগুলো আছে সেগুলোও অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সেজন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় চান নি।
তিন. পশ্চিমবঙ্গের কিছু হিন্দু মনে করেছিলেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ কমে যাবে। সুতরাং কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কীভাবে? এই ভয়েই তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি বিরোধিতা করেছিলেন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা কী ছিল সেটা নিয়ে বিস্তর লেখা-লেখি হয়েছে বছরের পর বছর ধরে।
যারা বলেছেন তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন তারা স্বপক্ষে দালিলিক কোন তথ্য প্রমাণ দেন নি।
সেই সময়কার সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা এবং রবীন্দ্রনাথের সেই সময় যাদের সাথে উঠা-বসা ছিল তাদের কয়েকজন ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে।
তাই অনেকেই সহজ সমীকরণ মিলিয়ে লিখেছেন তিনিও এর বিপক্ষেই ছিলেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদ তাঁর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা’ বই এ লিখেছেন “শ্রেণীস্বার্থে রবীন্দ্রনাথও ছিলেন কার্জনের (লর্ড কার্জন) ওপর অতি ক্ষুব্ধ। কার্জনের উচ্চশিক্ষাসংক্রান্ত মন্তব্যের তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কলকাতার হিন্দু সমাজে। তাতে রবীন্দ্রনাথও অংশগ্রহণ করেন। তিনি যে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন,তাতে কিছু ছিল যুক্তি, বেশির ভাগই ছিল আবেগ এবং কিছু ছিল ক্ষোভ”।
আবার যারা রবীন্দ্রনাথ বিরোধিতা করেননি বলেছেন তাঁরা এর স্বপক্ষে বেশ কিছু ঘটনা এবং এবং দিন তারিখের কথা উল্লেখ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেছেন ” কেউ কেউ কোনো প্রমাণ উপস্থিত না করেই লিখিতভাবে জানাচ্ছেন যে, ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ মার্চ কলকাতায় গড়ের মাঠে রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে এক বিরাট জনসভা হয়। ও রকম একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল বটে, কিন্তু তাতে রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি ছিল অসম্ভব, কেননা সেদিন তিনি কলকাতাতেই ছিলেন না। ১৯১২ সালের ১৯ মার্চ সিটি অব প্যারিস জাহাজযোগে রবীন্দ্রনাথের বিলাতযাত্রার কথা ছিল। তাঁর সফরসঙ্গী ডাক্তার দ্বিজেন্দ্রনাথ মিত্র জাহাজে উঠে পড়েছিলেন, কবির মালপত্রও তাতে তোলা হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু আকস্মিকভাবে ওইদিন সকালে রবীন্দ্রনাথ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মাদ্রাজ থেকে তাঁর মালপত্র ফিরিয়ে আনা হয়। কলকাতায় কয়েক দিন বিশ্রাম করে ২৪ মার্চ রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে চলে আসেন এবং ২৮ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে সেখানে বসে ১৮টি গান ও কবিতা রচনা করেন”।
আবার সেই সময়কার সামাজিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গবেষক তৌহিদুল হক বলছিলেন ” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যে তিন শ্রেণীর মানুষ বিরোধিতা করেছিলেন তাদের মধ্যে আমরা রবীন্দ্রনাথকে তৃতীয় কাতারে রাখতে চাই। কারণ তারা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের উচ্চবর্ণের কিছু হিন্দু সমাজ। তাঁদের সাথে বিশেষ করে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় আর রাজনীতিক সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর সাথে রবীন্দ্রনাথের একাধিকবার বৈঠক,আলোচনা হয়েছে শিলাইদহ যাওয়ার আগেও।এ থেকে আমরা অনুধাবন করতে চাই সেখানে পূর্ববঙ্গের সার্বিক উন্নতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। তবে এরও কোন স্পষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই”।
যারা পক্ষে কাজ করেছিলেন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরোধিতা যে হয়েছিল নানা পক্ষ থেকে সেটা ইতিহাস ঘাটলে তথ্য পাওয়া যায়।
কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আবশ্যকতা রয়েছে সেটা বোঝাতে এবং প্রতিষ্ঠার ব্যাপার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন যাঁরা তাদের কথা না বললেই নয়।
এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ। কিন্তু, হঠাৎ করে ১৯১৫ সালে নবাব সলিমুল্লাহের মৃত্যু ঘটলে নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী শক্ত হাতে এই উদ্যোগের হাল ধরেন।
অন্যান্যদের মধ্যে আবুল কাশেম ফজলুল হক উল্লেখযোগ্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় পূর্ব বাংলার হিন্দুরাও এগিয়ে এসেছিলেন।
এদের মধ্যে ঢাকার বালিয়াটির জমিদার অন্যতম। জগন্নাথ হলের নামকরণ হয় তাঁর পিতা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে।
_________________________
ফারহানা পারভীন, বিবিসি বাংলা, ঢাকা
১ জুলাই ২০১৮
https://www.bbc.com/bengali/news-44609891
২০১৪
বাংলা একাডেমীর হিসেব মতে ২০১৪ সালে বইমেলাতে বই বিক্রি হয়েছে ২৫ কোটির টাকার মত।
২০১৫
হুমায়ূন আহমেদ থাকতে তার বই দেড় থেকে দুই লাখ কপি অনেক প্রকাশকরাই বিক্র করত।
দেশে বর্তমানে প্রায় ৫৫০ থেকে ৬০০টি সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির ২০১৩ সালের বইয়ের তালিকায় ১১৮টি সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক কয়েক বছরে এসব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চার হাজারের বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। বছরের হিসেবে দেখা যায় প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ কপি বই বিক্রি হয়।
২০১৭
অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রকাশের পর শুধু এর মূল প্রকাশনা সংস্থা থেকেই দুই লাখ ত্রিশ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে বইটি।
২০১৮
বর্তমানে দেশে সব ধরনের প্রকাশনা মিলিয়ে কেবল প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই আড়াই হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে ১৭০টিরও বেশি জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর বই মেলাতেই সাড়ে ৩ হাজারের বেশি বই প্রকাশ করছে।
আগে একটি বই ১০০০ থেকে ৫০০ কপি ছাপলেও বিক্রি হয়ে যেতো এক মাসেই। যদিও অনেক বইয়ে ছাপানোর ক্ষেত্রেই ৩০০ কপির নিচে চলে এসেছেন তারা।
লেটার প্রেসের যুগেও বহু বই ছাপা হতো ১২৫০ কপি। এখন তারাই ৫০০ কপি থেকে ৩০০ কপিতে নেমে এসেছে। কিন্তু একটি বই এখনকার বাজারদর অনুযায়ী ৩০০ কপি বিক্রি হলেই কেবল ব্যয় উঠে আসে, কোনো মুনাফা হয় না।
কলকাতার, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরকে আমরা বই বিক্রির লক্ষ্য করতে পারি।
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সদস্য ১৭০। সদস্য নয় এমন সৃজনশীল প্রকাশনা
প্রতিষ্ঠানকে ধরলে প্রায় ২০০ হবে।
এক একটি প্রতিষ্ঠানের ৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ রয়েছে। ছোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। বড় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে।’ সৃজনশীল প্রকাশকরা বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিরও সদস্য। ‘বর্তমানে দেশে পাঠ্যবই ও গাইড বইসহ সব ধরনের পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। বিক্রেতাসহ এ সমিতির সদস্যসংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার।’
বাংলা একাডেমি জানাচ্ছে যে, এবার বইমেলায় মোট ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। যা গতবার ছিল ৬৫ কোটি টাকা। এছাড়াও বাংলা একাডেমি মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ২৪ হাজার টাকার বই বিক্রি করেছে। মেলায় নতুন বই এসেছে ৪৫৯১টি।
মেলায় এবার ছোট বড় ৪৫০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। বাংলা একাডেমির প্যাভিলিয়ননসহ ২৫টি প্যাভিলিয়ন ছিল এবছরের মেলায়। ইউনিট ছিল ৭৫০টি। শিশুতোষ বই প্রদর্শনের জন্য গেল কয়েক বছরের মতো ছিল আলাদা একটি কর্নার। লিটলম্যাগের জন্যও ছিল স্বতন্ত্র ব্যবস্থা।
সংগ্রহ ২০১৮।
২৫ জুন ১৯৭২ঃ আজকের এদিনে, দুলক আহমেদের ডায়েরি থেকে।
রাজনীতি তখন অন্যরকম ছিল।
এট একটা ছোট সিনেমা। শর্ট ফিল্ম। আদনান মুতানসির এর লেখা চিত্রনাট্য ও পরিচালনা।
আমার কালেক্শানে কেন রেখেছিলাম ঠিক মনে নাই। আজ আবার খুলে দেখলাম। নতুন ছবি, খুব কাঁচা। আমাকে যদি বলতো একটা কিছু বানাও, আমি হয়তো এভাবেই বানাতাম। এরচে ভাল কিছু হোত না।
অন্যের কোন সৃষ্টি যখন দেখি তখন বড় পন্ডিতের চোখ দিয়ে বিচার করি। মনে রাখি না এটা একটা কাঁচা সমাজের একজনের হাতেকলমের কাজ। সমাজ ও দেশটার সবকিছুতেই কাঁচা কাজের ছাপ থাকবে। এছাড়া ব্যতিক্রম যদি কিছু দেখি সেটা অসাধারণ প্রতিভার কাজ, যাদের সংখ্যা খুব কম।
Editorial Note of the 4th issue of White Board, a regular publication of the Centre for Research and Information. “As Bangladesh looks to consolidate its position as a middle-income country, it is time to move on from referring to the …
Pandit Bhimsen Gururaj Joshi 4 February 1922 – 24 January 2011) was an Indian vocalist from Karnataka, in the Hindustani …
Recent polls suggest that 68% of Bangladeshis get their news from the TV — and only 2% from newspapers, 4% from the internet and 4% from social media!
Who currently owns these TV stations?
The Centre for Governance Studies (CGS) report provides details of the ownership of most of the 30 currently operating TV stations — which make clear two very obvious points.
গানটা হোল Kiya Hai Jo Pyar to Paray Ga Nibahana. ১৯৬৮ সালে প্রদর্শিত সিনেমা Dil Mera Dharkan Teri এর গান। …
We will never be over till the end of this world. For the epics written with our blood, For the …
হেমন্তের ভীষণ জনপ্রিয় অলির ও কথা শুনে বকুল হাসে গান অনেকের কণ্ঠে শুনেছি।
আজ খোলা গলায় গাওয়া রংপুরের মেয়ে তিথি রায়ের ভিডিও দেখে আমার বেশ ভাল লেগেছে।
খুব অরিজিনাল গায়কী!!
এই মেয়েটাকে নেটে খুব পাওয়া যায় না।
সাংবাদিক কি এক্টিভিস্ট হতে পারে, এই প্রশ্ন আমার মাঝে বহুদিন থেকেই। সত্য ন্যায়ের পক্ষে, নারী অধিকারের পক্ষে বা স্বাধীনতার পক্ষে – এসব বলে কোন সাংবাদিক কি নিজের ভুমিকা নির্বাধারণ করতে পারে? আজ Shaugat Ali Sagor এর একটা পোস্ট পড়লাম। তিনি লিখেছেন-
কানাডীয়ান মিডিয়া আপনার লেখাটা খুলে দেখার আগে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট এর দিকে নজর দেয়। ওখানে আপনি কী করেন, কী লিখেন, সেইগুলোর ভেতর দিয়ে ঘুরে এসে আপনার লেখাটা খুলে বসেন।’ – এইটুকু শুনে চমকে উঠেছিলাম। কানাডার কর্পোরেট অফিসগুলোর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া নীতিমালা আছে, সাংবাদিকদেরও আছে,কিন্তু লেখা ছাপা হওয়া না হওয়ার সাথে লেখকের, সাংবাদিকের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের সম্পর্ক কী?সেই সম্পর্কটাই ব্যাখ্যা করছিলেন রজার বেলগ্রেভ, টরন্টো স্টারের কলামিষ্ট।অভিবাসী সাংবাদিকদের কানাডয়িান জার্নালিজমের ধারায় তৈরি করতে ‘নিউ কানাডীয়ান মিডিয়ার (এনসিএম) এর প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর কথা এর আগেও বলেছিলাম। ’তা হলে কানাডীয়ান মিডিয়া বাইরের লেখকদের (যারা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত নন) লেখা কিভাবে মূল্যায়ন করে? মানে কোন লেখাটা ছাপা হবে, কোন লেখাটা ছাপা হবে না- এই সিদ্ধান্তটা কি ভাবে হয়!’- প্রশ্নটা আসলে আমাদের সবারই মনের প্রশ্ন। আমরা মানে- আমাদের যাদের পরিচয়- এথনিক সাংবাদিক, পলিটিশিয়ানদের অনেকেই এখন ‘কালচারাল মিডিয়া’ নামেও ডাকে। আমরা যারা কানাডীয়ান মুলধারার পত্রপত্রিকায় আমাদের লেখা ছাপ হোক- তেমন স্বপ্ন দেখি, তাদের জন্য তো অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।কিন্তু লেখা দেখার আগে লেখকের সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে তারা নজর দেয় কেন? কারো লেখা প্রকাশের আগে কানাডীয়ান মিডিয়া নিশ্চিত হতে চায়, যিনি লিখছেন, যে বিষয়ে লিখছেন, এই বিষয়ে তিনি এক্টিভিজম করছেন কী না। যেই বিষয় নিয়ে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্টিভিজম করছেন- সেই বিষয় নিয়ে তার লেখা প্রকাশ না করার নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করে কানাডীয়ান মিডিয়া।টরন্টো স্টারের রিপোর্টারদের জন্য যে লিখিত নীতিমালা আছে, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, একজন সাংবাদিক একই সাথে সংবাদ এবং সাংবাদিক- দুই ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারবেন না। যিনি সাংবাদিক তিনি কেবল সাংবাদিকতাই করবেন, সংবাদ হবেন না, তিনি যখন সংবাদ হয়ে উঠবেন- তখন তার সাংবাদিকতার ইতি। এক্টিভিজমকে সংবাদ হিসেবে দেখে তারা, ফলে এক্টিভিষ্টকে সংবাদ কিংবা সংবাদপত্রের লেখক হিসেবে তারা অনুমোদন করে না। এক্টিভিষ্টের সাংবাদিক হওয়ায় সমস্যা কোথায়? সমস্যা আছে। একজন এক্টিভিষ্ট একটি পক্ষের হয়ে তার লড়াইটা করেন। কিন্তু সাংবাদিককে কোনো পক্ষের হলে চলে না। তিনি যখন কোনো পক্ষের হয়ে যান- তখন তিনি আর সাংবাদিক থাকেন না, তখন তিনি হয়ে যান এক্টিভিষ্ট।
মান্না দে’র কণ্ঠে আমি যে জলসা ঘরে গানটি এন্টনী ফিরিঙ্গী সিনেমার গান। ১৯৬৭ সালের ছবি। গানের কথা লিখেছেন গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার …
বড় পর্দায় দেশের পাঁচ দাপুটে পরিচালক অনিমেষ আইচ, অমিতাভ রেজা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, তৌকীর আহমেদ ও বদরুল আনাম সৌদের মুভি ভয়ংকর সুন্দর, আয়নাবাজি, ডুব, হালদা ও গহীন বালুচর দেখলাম।মুভি থিয়েটারে প্রতিটাই দেখতে গিয়ে মনে হয়েছে এতো সিনেমা না, নাটকের ছড়াছড়ি। অথচ তাদের তৈরি টেলিভিশনের বেশীর ভাগ নাটক আমার মনে হয় যেন একেকটা সিনেমা। এদের তৈরি টেলিভিশনের সেরা “সিনেমা” গুলোর কয়েকটি আমাদের রায়ান্স হলে প্রদর্শন করবো ভাবছি।
ড. কামাল হোসেন। আইনজীবী, রাজনীতিবিদ কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে যে মেধাবী শিক্ষাজীবনের শুরু, আইনজীবী হিসেবে যে যাত্রাপথ, সেই পথে আছে অনেক …
Movie Shor
Released Year 1972
Artist Manoj Kumar and Nanda
Singer Mukesh Kumar, Lata Mangeshkar
Composer Laxmikant-Pyarelal
Lyricist Santosh Anand
Ek pyar ka nagma hai, maujon ki rawani hai | It’s a song of love, it’s a flow of ecstasy |
Ek pyar ka nagma hai, maujon ki rawani hai | It’s a song of love, it’s a flow of ecstasy |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai, maujon ki rawani hai | It’s a song of love, it’s a flow of ecstasy |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai | It’s a song of love |
Kuch paakar khona hai, kuch khokar paana hai | We have to attain something and lose something |
Jeevan ka matlab toh aana aur jaana hai | The meaning of life is coming and going |
Do pal ke jeevan se ek umar churani hai | We have to steal a lifetime from this short life |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai | It’s a song of love |
Tu dhaar hai nadiya ki, main tera kinara hoon | You’re the current of a river and I’m your shore |
Tu mera sahara hai, main tera sahara hoon | You’re my support and I’m your support |
Aankhon mein samandar hai, ashaon ka paani hai | In my eyes there’s an ocean with waters of desires |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai | It’s a song of love |
Toofan ko aana hai, aakar chale jaana hai | The storm has to come and leave as well |
Baadal hai yeh kuch pal ka, chhakar dhal jaana hai | The clouds will thunder for a few moments and then pass |
Parchaiyan reh jaati, reh jaati nishani hai | Shadows remain, marks remain |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai, maujon ki rawani hai | It’s a song of love, it’s a flow of ecstasy |
Zindagi aur kuch bhi nahi teri meri kahani hai | Life is nothing but a story about you and me |
Ek pyar ka nagma hai | It’s a song of love |
Dil hoom hoom kare, ghabraaye
My heart is puffing, and scared
Ghan dham dham kare, darr jaaye
The clouds are thundering, my heart gets terrified.
Ek boond kabhi paani ki mori ankhiyon se barsaaye
I wish, sometime a drop of water flows from my eyes
Dil hoom hoom kare, ghabraaye
My heart is puffing, and scared
Teri johori daaroon, sab sukhe paat jo aaye
I want to put in your lap all the dry leaves I have
Tera chhua laage, meri sukhi daar hariyaaye
When you touch me, my dry bough will become green
Dil hoom hoom kare, ghabraaye
My heart is puffing, and scared
Jis tan ko chhua tu ney, us tan ko shhupaoon
The body that you have touched, I am hiding that body
Jis man ko laagey naina, voh kisko dikhaaoon
The mind infatuated with your eyes, who do I show it to?
O morey chandrama, teri chaandni ang jalaaye
Oh my moon, your moonlight burns my body
Teri uonchi ataari, mainey pankh liye katwaaye
You are up on a high balcony; I have cut off my wings
Dil hoom hoom kare, ghabraaye
My heart is puffing, and scared
Ghan dham dham kare, darr jaaye
The clouds are thundering, my heart is terrified
Ek boond kabhi paani ki mori ankhiyon se barsaaye
A drop of water sometimes could flow from my eyes
Dil hoom hoom kare, ghabraaye
My heart is puffing, and scared
Rudaali is a 1993 Hindi film directed by the Feminist Indian director Kalpana Lajmi, based on the short story written by famous Bengali litterateur Mahasweta Devi.
The title is a reference to a custom in certain areas of Rajasthan where women of a lower caste are hired as professional mourners upon the death of upper-caste males. These women are referred to as a ‘rudaali’ (roo-dah-lee), literally translated as ‘female weeper‘ or “Weeping Woman” Their job is to publicly express grief of family members who are not permitted to display emotion due to social status.
Kalpana Lajmi, The director of the great movie Rudaali (1993) admits that Hazarika’s music contributed hugely to making the film unforgettable, as did his evergreen track, Dil hoom hoom kare. This time it was Gulzar, who took the creative liberty of using the words” hoom hoom ” from Hazarika’a original Assamese song, “Buku hom hom kore”, instead of going with the literal Hindi translation “Dhak dhak”.
On Lata Mangeshker’s request, Hazarika sang the dubbed track himself. She and recordist Amil Sood were so mesmerised by his voice that they entreated Kalpana not to wipe it out. “So I had the song on the cassette and when Dimple requested me to send her all the songs before we left on location, I sent this one too. She was also bowled over and insisted we use his version in the film,” remembers Kalpana. “I told her that there was no scope to use Bhupenda’s distinctly male voice, but she still insisted I transfer the song on to a spool and take it along with us for the shoot.”
The song was played during the scene in which Dimple turns into a widow. It was a 400-feet uncut shot taken at 4 am in the wilderness. Describing it as one of the finest scenes in the film, Kalpana says that once again Dimple insisted that Bhupenda’s song be played in the background while she enacted the scene. Later, she again insisted that they retain the song in the film.
“So even though I knew that I should have really had a female voice singing Dil hoom hoom kare, I went with Bhupen da’s voice,” admits Kalpana. “Bhupen da later joked that of his huge repertoire of songs, this was the one that made him famous across India.”
mukhtarlyallpuri.blogspot.com
Song: Naam Gum Jayega
Movie: Kinara
Year: 1977
Singer: Lata Mangeshkar, Bhupinder Singh
Music: RD Burman
Lyrics: Gulzar
Below are the lyrics of the song Naam Gum Jayega from movie Kinara.
English Translation of the song Naam Gum Jayega from movie Kinara is in Red Color.
Naam gum jayega chehera ye badal jaayega
name will get change face will get change
meri aawaaz hee pahechan hai
but I will get recognized or remembered by my voice only
ghar yaad rahe
If you will try to remember it
waqt ke sitam kam haseen nahin
time has given sorrow pain but they are beautiful
aaj hain yahaan kal kahee nahin
today we are here but tomorrow we will be nowhere
Here lyricist is talking about death.
waqt ke pare agar mil gaye kahee
may be we meet somewhere beyond time.
Again here lyricist is saying may be we will meet somewhere after our death.
meri aawaaz hee pahechan hai
I will get recognized or remembered by my voice only
ghar yaad rahe
If you will try to remember it
naam gum jayega chehera ye badal jaayega
name will get change face will get change
meri aawaaz hee pahechan hai
I will get recognized or remembered by my voice only
ghar yaad rahe
If you will try to remember it
jo gujar gayee, kal kee baat thee
what happened that happened yesterday, happened in Past
umar to naheen ek raat thee
it was the just one night not the life time
raat ka siraa agar fhir mile kahee
but what if we again get to live experienced that time of the night
meri aawaaz hee pahechan hai
I will get recognized or remembered by my voice only
ghar yaad rahe
If you will try to remember it
naam gum jayega chehera ye badal jaayega
name will get change face will get change
meri aawaaz hee pahechan hai
I will get recognized or remembered by my voice only
ghar yaad rahe
If you will try to remember it
din dhale jahaa raat paas ho
when the afternoon has passed evening is passing night is not far away
zindagi ki lau unchee kar chalo
at that time increase the positive thinking light in your life
yaad aaye gar kabhee jee udaas ho
when you remember something which makes you sad
meri aawaaz hee pahechan hai
I will get recognized or remembered by my voice only
ghar yaad rahe
If you will try to remember it
naam gum jayega chehera ye badal jaayega
name will get change face will get change
meri aawaaz hee pahechan hai
I will get recognized or remembered by my voice only
ghar yaad rahe
If you will try to remember it